39154

08/02/2025 বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ ‘চীনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত’, বলছে বেইজিং

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ ‘চীনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত’, বলছে বেইজিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ জুলাই ২০২৫ ১১:৩১

দক্ষিণ তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণকে ‘চীনের পূর্ণ নিজেদের’ বিষয় বলে দাবি করেছে বেইজিং। বুধবার (২৩ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্য করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, “এই প্রকল্প নিচু এলাকার কোনো দেশকে ক্ষতির মুখে ফেলবে না।”

গত সপ্তাহেই চীন দক্ষিণ-পশ্চিম তিব্বতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইয়ারলুং ঝাংবো নদীর উপত্যকায় এই বিশাল পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু করে। এই নদী ভারত অংশে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত এবং পরে তা বাংলাদেশে যমুনা নামে প্রবাহিত হয়।

গুও বলেন, প্রকল্পটি নির্মাণ শেষ হলে পুরো নদীপথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও জানান, চীন নদীর নিম্নপ্রবাহে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে পানিসংক্রান্ত তথ্য বিনিময় ও বন্যা মোকাবিলার বিষয়ে সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করেছি এবং এই নদীপথ ঘিরে সব দেশের মানুষের কল্যাণে যৌথ সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে।”

চীনের দাবি, তারা আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর ব্যবস্থাপনায় সবসময় দায়িত্বশীল আচরণ করে এবং তাদের পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিকল্পনা, নকশা ও নির্মাণে বহু বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই নতুন প্রকল্পটিও চীনের সর্বোচ্চ শিল্পমান মেনে তৈরি করা হচ্ছে।

প্রকল্পটিকে ঘিরে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, “এই প্রকল্প পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলগুলো এড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ যেন যতটা সম্ভব অক্ষত থাকে, তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা।”

এই পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প পাঁচটি ক্যাসকেড বা ধাপবিশিষ্ট বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে গঠিত হবে এবং এতে চীন প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭.৮ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করছে। প্রকল্পটি নির্মাণ শেষ হলে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যা বিশ্বের বর্তমান বৃহত্তম বাঁধ চীনের থ্রি গর্জেস ড্যামের তিনগুণ।

চীন এই প্রকল্পকে পানিবায়ু লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জন করা।

এসএন /সীমা

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]