বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলন- সংগ্রামের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না। তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, জনগণ জানে কারা এই অবৈধ শক্তি, কারা এই অপ্রচারের পেছনে কাজ করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসা উচিত। আহ্বান জানাবো- সত্যের পথে আসুন, অন্যায়ের পথ পরিহার করুন। অন্যথায় এই অগণতান্ত্রিক অপশক্তি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
সরকারের নির্লিপ্ততায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মীর হেলাল বলেন, সংস্কারের নামে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর নতুন নতুন ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে। অথচ বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচিতেই সব প্রকার গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। এ সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই কেবল স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে পারবে।
এর আগে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিঠ।
নাজিমুর রহমান বলেন, দুটি ইসলামী দল ভারতের ‘র’ এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এরমধ্যে একটি ইসলামী রাজনীতিক দলের রক্তাক্ত ইতিহাস পাকিস্তানি দোসর থেকে শুরু করে এরশাদ ও শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে তাদের ভূমিকা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।
সভাপতির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লাখো মানুষের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা আজ আবারও হুমকির মুখে।
দীপ্তি আরও বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে সংগ্রাম করে এসেছে। এই পথচলায় হাজারো নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, গুম ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা যেমন নজিরবিহীন, তেমনি তা গভীর ষড়যন্ত্রের প্রমাণ বহন করে।
সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।