সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর ১১টা থেকে মহাখালীর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দাবি করছেন ‘স্বতন্ত্র ইউনানী‑আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল’ গঠন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছেন— ‘এক দফা এক দাবি, স্বতন্ত্র কাউন্সিল চাই’ এবং ‘অবৈধ চিঠি বাতিল চাই’। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বৈষম্যের শিকার। স্বতন্ত্র কাউন্সিল ছাড়া আমাদের পেশাগত রেজিস্ট্রেশন অনিশ্চিত।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা ইউনানী‑আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির স্বীকৃত ছাত্র। আমাদের সনদ, ইন্টার্নশিপ ও একাডেমিক প্রশিক্ষণ এমবিবিএস সমমান হলেও এখনও পেশাগত মর্যাদা পাইনি। তাই চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় বঞ্চিত হচ্ছি।
জুবায়ের আহসান নামের একজন বলেন, বাংলাদেশে শতাব্দী প্রাচীন ইউনানী‑আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত। গ্রামীণ অঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসায় এর ওপর নির্ভর করে। তবু আজও আমরা বৈষম্য, অবহেলা ও নীতিগত অচলের শিকার।
তারপর সজ্জাদ নামের আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠি আমাদের জন্য ভীতি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এটাকে আমরা একটি ‘ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কিছু দালাল চক্র ভুয়া ডিগ্রির স্বীকৃতি দিতে চেষ্টা করেছে। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিএএমএস ও বিইউএমএস কোর্সগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে চালু হয়েছে। ২০১২ সালের ‘গ্র্যাজুয়েট ইউনানী‑আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নীতিমালা’ তা স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, জাতীয় ইউনানী‑আয়ুর্বেদিক শিক্ষার্থীদের পদক্ষেপে অধিদফতর আজ হঠাৎ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আমরা তাদের ক্ষোভ বুঝি। তবে ঘেরাও করে দাবিপত্র নেওয়া আমাদের কাজকে ব্যাহত করছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় যৌক্তিক সমাধান আনার চেষ্টা চলছে।
এসএন /সীমা