মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করে ই-মানি ইস্যুর মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগদ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৪ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনা করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ‘ফিজিক্যাল মানি’ হিসেবে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিরা হলেন -নগদ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক, নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত আলম, এএমডি ও নমিনি পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, সিনিয়র ম্যানেজার, ট্রেজারি বিভাগ ও নমিনি পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. আবু রায়হান, হেড অব ফাইন্যান্স অপারেশনস মো. রাকিবুল ইসলাম, চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আফজাল আহমেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স গোলাম মর্তুজা চৌধুরী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস পরিচালনার সুযোগ পায়। এই চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ডাক বিভাগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু সেই অর্থ যথাযথভাবে সরকারি হিসাবে জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করা হয়। জাল দলিল, মিথ্যা তথ্য ও বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করে এবং সরকারি রিপোর্টিং পোর্টালে ভুল তথ্য প্রদান করে ৬৪৫ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৭৫৮ টাকা ই-মানি ইস্যু করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।