36652

05/30/2025 এক দেশে ক’টা আইন চলে, অপসারিত মেয়র মোস্তফার প্রশ্ন

এক দেশে ক’টা আইন চলে, অপসারিত মেয়র মোস্তফার প্রশ্ন

জেলা সংবাদদাতা, রংপুর

২৮ মে ২০২৫ ১৫:৩৪

‘এক দেশে ক’টা আইন চলে?’—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্ন তুলেছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) অপসারিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

তিনি বলেন, সরকার একদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করছে, অন্যদিকে ভোট বর্জন করেও অন্য নেতাদের মেয়র পদে বসানো হচ্ছে। এতে দেশে আইনের শাসনের পরিবর্তে বৈষম্যমূলক শাসন চালু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে রংপুর নগর ভবনের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির এ নেতা। সমাবেশে তিনি রসিকের অপসারিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের দ্রুত পুনর্বহালের দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে ঈদের পর থেকে লাগাতার আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মোস্তফা বলেন, ‘আইন অনুযায়ী, কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর অপসারিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। অথচ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো নির্বাচনের খবর নেই।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘রংপুরে যে প্রশাসক বসানো হয়েছে, তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত। টাকা ছাড়া ফাইল নড়াচড়া করে না। উপরন্তু নাগরিক সেবার বদলে জনগণের ওপর কর চাপানো হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে ভোট বর্জন করেও বিএনপির নেতা মেয়র হয়েছেন। ঢাকায় ইশরাক মেয়র হচ্ছেন—তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এক দেশে ক’টা আইন চলবে?’

বিক্ষোভ ও যানজট
সমাবেশে রসিকের অপসারিত কাউন্সিলর, জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগর ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভের কারণে নগরীর কাচারী বাজার, সিটি বাজার, পায়রা চত্বরসহ প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে।

পূর্ব নির্বাচনের প্রেক্ষাপট
২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আমিরুজ্জামান, যিনি পেয়েছিলেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]