থাইল্যান্ডের পর্যটন ভিসা পেতে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেখানোর বাধ্যবাধকতা পুনর্বহাল করা হয়েছে। দেশটিতে গিয়ে ‘ঘোরাঘুরি করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ’ আছে এমন প্রমাণ দেখাতে হবে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে এই নিয়ম বাতিল করেছিল থাইল্যান্ড। কিন্তু ২০২৫ সালের মে থেকে এটি আবারও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মূলত আরও বেশি পর্যটক টানতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল দেশটি। কিন্তু সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে তারা।
ভিসা বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ভিসানিউজ জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল ই-ভিসা ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যারা পর্যটন ভিসার আবেদন করবেন তাদের ‘আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেখাতে হবে। যার পরিমাণ ২০ হাজার বাত (থাই মুদ্রা)-এর কম হতে পারবে না। সঙ্গে শেষ তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং স্পন্সরশিপ লেটার প্রদান করতে হবে। বাংলাদেশি অর্থে ২০ হাজার বাত প্রায় ৭৩ হাজার টাকার সমান।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নরওয়েসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের থাই দূতাবাসগুলো ই-পর্যটন ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মটি কার্যকর করা শুরু করেছে।
আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেখানোর পাশাপাশি পাসপোর্টের একটি কপি, সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বর্তমান বাসস্থানের প্রমাণপত্র, রাউন্ড ট্রিপের বিমান টিকিট এবং থাইল্যান্ডে যেখানে গিয়ে থাকবেন সেটির প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে।
এদিকে গত ২ জানুয়ারি থাইল্যান্ড বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করে। বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীরা অনলাইনে আবেদন করে দেশটির ভিসা নিতে পারবেন। আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে ই-ভিসা ই-মেইলে পাঠানো হবে। এই ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করা যাবে।
অনলাইনে থাই ভিসা নিতেপ্রথমে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।