ছোটখাটো অপরাধে যারা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন এবং হত্যা, ধর্ষণ ও অ্যাসিড মামলার আসামি নয় এমন কয়েদিদের কীভাবে মুক্তি দেয়া যায়, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্র জানায়, দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে। বর্তমানে কারাগারগুলোতে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪। তবে কারাবন্দির সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন। কারাগারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরকার নবনির্মিত ৫টি কারাগারকে কারাগার-১ এবং পুরনো কারাগারকে কারাগার-২ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরনো কারাগার সম্প্রসারণ ও নতুন ভবন তৈরি করেও বন্দি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানে আক্রান্ত বেশি, সেখানে লকডাউন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো নির্দেশনা আসেনি। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেডে) মাস্ক ও পিপিই বানায় এমন কারখানাগুলো খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ থাকবে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
করোনাসহ নানা কারনে ২০ দিন পর সোমবার বেলা ১১টার দিকে গণভবনে সীমিত পরিসরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উপস্থিতি প্রধানমন্ত্রী, সব মন্ত্রী ও কর্মকর্তার মুখে ছিল মাস্ক। প্রত্যেকে দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা আলাদা টেবিলে বসেছেন। বৈঠকের ভিডিও ফুটেজে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে দেখা গেছে। সবাই মাস্ক পরা ছিলেন। বসেছেন আলাদা আলাদা টেবিলে। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসসহ কয়েকজন সচিবকেও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন টেবিলে বসে থাকতে দেখা গেছে। অন্য সময় সব মন্ত্রী বৈঠকে থাকলেও এই বৈঠকে শুধু যাদের এজেন্ডা ছিল তারাই উপস্থিত ছিলেন।