23407

05/15/2024 ইভিএমের পক্ষে বললেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

ইভিএমের পক্ষে বললেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৩

পাকিস্তানের নির্বাচনে যদি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হতো তাহলে নির্বাচনের ফলাফলে দেরি হওয়ার সঙ্কট এড়াতে পারতো বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পিটিআই তাদের শাসনামলে ইভিএম ব্যবহার করেছিল এটি সমর্থন করেছিল বলেও জানান তিনি।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।

ইভিএম প্রয়োগের জন্য পার্টির সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের কথা মনে রাখবেন।’

প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘ইভিএমে কাগজের ব্যালট ছিল যা হাত দিয়ে আলাদাভাবে গণনা করা যেত (যেমন এটি আজ করা হচ্ছে)। কিন্তু এতে বোতাম টিপে প্রতিটি ভোটের একটি সাধারণ ইলেকট্রনিক ক্যালকুলেটর/গণনার প্রক্রিয়াও ছিল। ভোট শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রতিটি প্রার্থীর মোট তথ্য পাওয়া যেত এবং প্রকাশ করা যেত।’

এদিকে, সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) ৭৪ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩টিতে জিতেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত নির্দলেরা ৯৬ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যরা ৩০ আসনে জয়ী হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সংঘাতপূর্ণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মোবাইল পরিষেবা। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। তবে পরদিন পাকিস্তানে মুঠোফোন সেবা চালু রয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে পাঁচ হাজার ১২১ জন ও আঞ্চলিক নির্বাচনে ১২ হাজার ৬৯৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে ১১ হাজার ১৭৪ জন পুরুষ ও ৬০৭ জন নারী।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]