প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্দিষ্ট প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক নৌকা দিলেও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে স্বতন্ত্র হিসেবে দলীয় নেতাদের ভোটে লড়ার অনুমতি দিয়েছে। এতে সারাদেশে শত শত আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে দলের অবস্থান তুলে ধরে নৌকার প্রার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এই নির্দেশনা দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্বতন্ত্রদেরও আমাদের নেত্রী প্রার্থী হতে বলেছেন। এতে কারও কিছু হারাবার নাই। নৌকার নিজের শক্তি আছে, ভয় পান কাকে?

নিজ দলের প্রার্থীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাইবোনেরা একসঙ্গে থাকবেন, ঝগড়া করবেন না। স্বতন্ত্র তার নির্বাচন করবেন, নৌকা নৌকার নির্বাচন করবে। কারো সঙ্গে কারো ঝগড়ার দরকার নেই।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনি যদি এলাকায় এমপি থাকতে নিজের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেন তখন সেখানে স্বতন্ত্র ঢুকে গেলে আমরা কী করব? কী করার আছে আমাদের? কাজেই নৌকার ইজ্জতও নৌকার প্রার্থীদের রাখতে হবে।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্থানে নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। সে দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে ঝগড়া করবেন না। মিলেমিশে থাকবেন। দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলেমিশে কাজ করবেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে সমালোচনা করে করে বলেন, বিএনপি এখন কী বলে? অসহযোগ আন্দোলন করবে। বানরে সংগীত গায় শিলা জলে ভাসে। সেরকম হলো না? এরা নাকি অসহযোগ আন্দোলন করবে? ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কি আছে? লাল কার্ড। নির্বাচনে আছে ১৮৯৬ জন। এই ১৮৯৬ জন ৭ জানুয়ারি সারা দেশে ৩০০ আসনে খেলবে। জোরদার খেলা হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালাননি। তিনি ভোট করছেন এবং দেশেই আছেন- জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপি তো লালকার্ড পেয়ে এখন মাঠের বাইরে। তারা তো ফাইনাল খেলায় নেই, পালিয়েছে। নির্বাচনের পর নাকি সরকার পতন হবে। প্রস্তুত থাকুন সবাই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন কী বলে? নির্বাচনের পরের পাঁচ দিনে সরকার পতন হয়ে চলে যাবে। কী বলেন, বিশ্বাস হয়? ভুয়া। বিএনপিই হলো ভুয়া। তাদের রাজনীতি, অবরোধ আজকের কর্মসূচি অগ্নিসন্ত্রাস ভুয়া। বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে হবে একসঙ্গে।