19062

05/19/2024 হোটেলে খেতে বসে মুরগির তরকারিতে পেলেন মরা ইঁদুর

হোটেলে খেতে বসে মুরগির তরকারিতে পেলেন মরা ইঁদুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ আগস্ট ২০২৩ ০১:২৫

হোটেলে বসে রাতের খাবারের জন্য মুরগির মাংসের তরকারির অর্ডার করেছিলেন এক যুবক। টেবিলে খাবার আসার পর খেতে শুরুও করেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ দেখা দিল বিপত্তি। বাটি থেকে মুরগির মাংস তুলে মুখে দিয়েছেন মাত্র, তখনই চোখে পড়ে বাটিতে ইঁদুর।

ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের রাজধানী মুম্বাইয়ের এক হোটেলে এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ওই যুবক। পরে তিনি এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার পর তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

বুধবার মুম্বাইয়ের পুলিশ বলেছে, হোটেলের ম্যানেজার ও পাচকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুরাগ সিং নামের ওই যুবক তার বন্ধু আমিনকে নিয়ে রোববার রাতে বান্দ্রার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। ওই হোটেলে পাঞ্জাবি খাবার পরিবেশন করা হয়। তারা খাসির মাংস ও মুরগির তরকারি অর্ডার দেন।

খাবার টেবিলে আসার সঙ্গে সঙ্গে মুরগির তরকারি খেতে শুরু করেন অনুরাগ সিং। এ সময় তার চোখে কোনও কিছুই পড়েনি। কিন্তু মুরগির মাংসের একটি টুকরোতে কামড় দেওয়ার পর তা সন্দেহ হয়। তার কাছে ওই মাংস মুরগির মতো মনে হয়নি। পরে তা ভালো করে নেড়েচেড়ে দেখেন তিনি। তখন দেখা যায়, এটা আসলে মরা ইঁদুর।

এমন ঘটনায় বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দুই যুবক হোটেলের ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ করেন। অনুরাগ সিং পুলিশের কাছে করা অভিযোগে বলেছেন, হোটেলের ম্যানেজার পরিষ্কার করে কিছু জানাননি।

অনুরাগ বলেন, এই ঘটনার পরপরই তিনি অসুস্থবোধ করেন। পরে চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। এরপর অনুরাগ সিং থানায় গিয়ে হোটেলের পাচক, ম্যানেজার এবং মুরগি সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মুম্বাই পুলিশ বলছে, হোটেলের পাচক, ম্যানেজার এবং মুরগি সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে খাদ্যে ভেজাল এবং জীবন বা অন্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত মাসেও পাঞ্জাবের লুধিয়ানার একটি বিখ্যাত হোটেলে পরিবেশন করা খাবারের থালায় মৃত ইঁদুর পাওয়া যায়। খাবারে মৃত ইঁদুর পাওয়ার এই ঘটনাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]