16811

05/03/2024 আর্জেন্টাইন মার্টিনেজের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি

আর্জেন্টাইন মার্টিনেজের সামনে ইতিহাস গড়ার হাতছানি

ক্রীড়া ডেস্ক

১৭ মে ২০২৩ ২১:৩১

কাতার বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে সুসময় বয়ে এসেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল অঙ্গনে। জাতীয় দলের বাইরেও দেশটির ফুটবলাররা ক্লাব প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক পারফর্ম করে চলছেন।

তবে সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা তৃতীয় বারের মতো সোনালী ট্রফি পেলেও, ব্যক্তিগত ফর্মের কারণে সমালোচনার শিকার হন লাউতারো মার্টিনেজ। গোলে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে তিনি আলবিসেলেস্তা সমর্থকদের রোষের কারণ হয়ে ওঠেন।

তবে ক্লাব ফুটবলে মার্টিনেজ জাতীয় দলের বিপরীত। তার দুর্দান্ত প্রতিভায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান।

মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারায় ইন্টার মিলান। যেখানে একমাত্র গোলটি করেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মার্টিনেজ। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় ১৩ বছর পর ইন্টার ফাইনালে উঠেছে। যার মাধ্যমে এক মৌসুমে দেশের হয়ে মার্টিনেজের সামনে বিশ্বকাপ ও ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার সুযোগ।

এর আগে নয়জন ফুটবলার একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও ইউরোপসেরা হওয়ার গৌরব গায়ে মেখেছেন। দশম ফুটবলার হিসেবে এমন কীর্তিতে নিজের নাম তুলতে পারেন মার্টিনেজও। এজন্য ইন্টার মিলানের হয়ে ফাইনাল ম্যাচটি জিততে হবে। যদিও এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টারের প্রতিপক্ষ নির্ধারিণ হয়নি। আজ (১৭ মে) রাতে ইউরোপসেরার আসরটিতে মুখোমুখি মহারণে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সিটির সঙ্গে ড্র করেছিল রিয়াল। দ্বিতীয় লেগে তাদের ম্যাচ হবে সিটির মাঠ ইতিহাদে।

একসঙ্গে একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও ইউরোপসেরা হওয়ার কীর্তি গড়েছেন ৬ ফুটবলার। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ জেতার পর এই ছয় ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জিতেছিলেন ইউরোপিয়ান কাপ। তারা হলেন সেপ মেয়ার, পল ব্রাইটনার, হানস-গিয়োর্গ শোয়ারজেনবেক, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্ড মুলার ও উলি হোয়েনেস। পরের তিনজন হলেন ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ, ১৯৯৮), রবার্তো কার্লোস (ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদ, ২০০২), রাফায়েল ভারানে (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৮)।

গতরাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের বিপক্ষে মার্টিনেজের গোলটি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে প্রথম। যদিও ক্যারিয়ারজুড়েই তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল আছে। গ্রুপ পর্যায়ে তার গোল সাতটি। শেষ ষোলোতে একটি। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেও করেছেন এক গোল। সেমিফাইনালের গোলটির পর এখন নিশ্চয়ই ফাইনালে গোল করতে চাইবেন তিনি।

বিশ্বজয়ী এই ফরোয়ার্ড এ নিয়ে তিনটি বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলতে যাচ্ছেন। ২০২১ সালে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ের ফাইনালের পর, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেই গৌরবের বিশ্বকাপ ফাইনাল। এসি মিলানকে হারিয়ে ইন্টারকে নিয়ে আরও একটি ফাইনালে পৌঁছেছেন মার্টিনেজ। দলীয় ও ব্যক্তিগত অর্জনের এমন আনন্দঘন মুহূর্তে উচ্ছ্বসিত মার্টিনেজ বলছেন, ‌‘গোটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমি আমার দলের সতীর্থদের সঙ্গে পরিশ্রম করেছি। সেই পরিশ্রমের ফল পেয়েছি আমরা। আমার হাতে যে অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী, সেটিও সেই পরিশ্রমেরই পুরস্কার। আজকের মুহূর্তটা অবশ্যই আমাদের জন্য তৃপ্তি ও গৌরবের। আশা করি, আমরা শেষ পর্যন্ত শিরোপাটা জিততে পারব।’

এই ম্যাচে নিজের করা গোলটি নিয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড জানান, ‘গোলটি অবশ্যই ইতিহাসে ঠাঁই পাবে। গোলটি আমার জন্য দারুণ আনন্দের উপলক্ষ। অনন্য এক মুহূর্ত। তবে গোলটি কীভাবে করেছি, তার পুরো বর্ণনা দিতে পারব না। লুকাকুর পাস ধরে জায়গামতো শট নিয়েছিলাম। ভাগ্যবশত গোলটা হয়েছে।’

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]