16384

05/08/2024 চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে : স্বাস্থ্য সচিব

চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে : স্বাস্থ্য সচিব

স্বাস্থ্য ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৩২

রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে রোগ প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেছেন, আমরা গর্ব করে বলি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি, হাসপাতালগুলোতে সেবা বাড়াচ্ছি। কিন্তু যতো সেবাই বাড়ানো হয়, যথেষ্ট হবে না যদি আমরা প্রিভেনশনকে গুরুত্ব না দেই।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর হোটেল শেরাটনে নেগলেক্ট ট্রপিক্যাল ডিজিস (এনটিডি) দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় বর্তমান যে ফ্যাসিলিটি আছে, সেটা দিয়েই প্রিভেনশনে আমরা আরো বেশি কাজ করতে পারি। ছোটখাটো যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি। অনেকসময় ছোটখাটো রোগ থেকেই বিভিন্ন বড় সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য সচেতনতাটা খুবই জরুরি।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, অসংখ্য মানুষ এখন অর্থের চাপের কারণে হাসপাতালে যায় না। প্রেশার নিয়ে ঘুমিয়ে আছে, ডায়াবেটিস নিয়ে চলাফেরা করছে। যখন সিভিয়ার পর্যায়ে পৌঁছে তখন হাসপাতালে ছুটে যায়, কিন্তু তখন আর তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

এনটিডি রোগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এনটিডি নিয়ে ১৪৯টি দেশ সমস্যায় আছে। আমাদের রোগের প্রবণতা বেশি। ফাইলেরিয়া, কালাজ্বর, এগুলোর প্রকোপ হরহামেশাই দেখা যায়। আমরা যদি এখানে বিনিয়োগ করি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি, তাহলে অসংখ্য ডিজিজ প্রিভেনশন করতে পারব।

চিকিৎসায় খরচ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, স্বাস্থ্য খাতে প্রতি ডলার খরচ করলে ২৫ ডলার রিটার্ন পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রিভেনশনে যদি খরচ করা হয়, মানুষ অসুস্থ হবে না, চিকিৎসার পেছনে খরচ হবে না। এতে ২৫ ডলার মূল্যের লাভ হবে। আমরা আমাদের বিভিন্ন ডিজিজ ম্যানেজমেন্টে যে পরিমাণ ব্যয় করি, সেটাকে বাড়িয়ে যদি আমরা ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজে আনতে পারি তাহলে অনেকটাই এগিয়ে যাব। এজন্য প্রিভেনশনটা খুবই জরুরি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা যদি সুস্থ থাকতে পারি, তাহলে দেশও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, ব্যক্তি নিজেও এগিয়ে যাবে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, এনটিডি প্রতিরোধে ২০৩০ সালের মধ্যে যেসব টার্গেট আছে, সেগুলো অর্জন করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ ও কাজ করা প্রয়োজন। তাহলেই কাজটি সফল হবে এবং আমরা আমরাদের টার্গেট পূরণ করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানা। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলনসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (সিডিসি) ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ড. রোবেদ আমিন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]