সরকারি জমিতে ২৫০টির মতো অবৈধ দোকান নির্মাণ ও শিক্ষা অফিসে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও পটুয়াখালী অফিস থেকে চালানো অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিত সত্যতা মিলেছে।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমি অবৈধভাবে দখলপূর্বক দোকান নির্মাণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের কুমিল্লা অফিস থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। অভিযানকালে বাঙ্গুরা বাজারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ভূমিতে প্রায় ২৫০টির মতো অবৈধ দোকানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
দুদক টিম বাঙ্গুরা বাজার পরিদর্শন করে এবং বাজারের সভাপতি ও সেক্রেটারির সাথে কথা বলে। এছাড়াও দুদক টিম সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এবং প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। বাঙ্গুরা বাজারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ভূমিতে প্রায় ২৫০টির মতো অবৈধভাবে বসানো দোকানের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অন্যদিকে পটুয়াখালীর বাউফলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকদের শিক্ষাক্রম বিতরণের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরও একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট টিম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস পরিদর্শন করে এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। রেকর্ডপত্র প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনার পর টিম বিল-ভাউচারের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিদর্শনপূর্বক স্বত্বাধিকারীদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও স্বত্বাধিকারীদের বক্তব্যে টিম অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।