1408

05/14/2024 ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার সাবেক ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার সাবেক ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

সময়নিউজ ডেস্ক

৩১ আগস্ট ২০২০ ১৯:৩০

ঘুষ ও দুর্নীতির ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতারের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

সোমবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলার চার্জ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলি করেন।

এর আগে ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন ঘুষগ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বণিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এ মামলাটি করা হয়েছিল।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সিলেট কারা কর্তৃপক্ষের ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের ফ্ল্যাট থেকে ঘুষ-দুর্নীতির ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন কক্ষে তোশক, বালিশের কভার এবং আলমিরায় লুকানো অবস্থায় এ টাকা পাওয়া যায়। ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিক ২০০২ সালের ২০ জুন জেল সুপার হিসেবে যোগদান করেন। প্রথমে তার পোস্টিং হয় রংপুর। ২০১৪ সালে ডিআইজি (প্রিজন) হিসেবে পদোন্নতি পান। পরে তাকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে সিলেট বদলি করা হয়।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসেন ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিক। ময়মনসিংহগামী ট্রেন থেকে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত), ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার নগদ চেক এবং ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে। তিনি চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলার সোহেল রানা গ্রেফতারের পর ‘ঘুষের ভাগ পার্থ বণিককে দিয়েছেন’- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিককে সিলেটে বদলি করা হয়। সোহেল রানার ঘুষের অর্থের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ঘাটে ঘাটে দুর্নীতির খোঁজ পায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে কয়েক কর্মকর্তা একাধিকবার দুর্নীতির দায়ে বিভাগীয় শাস্তি ভোগ করেছেন- এ ধরনের তথ্যও বেরিয়ে আসে।
তবে বরখাস্ত ডিআইজি পার্থ দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]