সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে


প্রকাশিত:
৩ আগস্ট ২০২২ ২৩:২৭

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৩৮

 ছবি : সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বিমানবন্দর সংলগ্ন ২টি বেসরকারি তারকা হোটেল ও ১টি শপিং কমপ্লেক্সসহ ৫টি বহুতল ভবনের কারণে।

বিমানবন্দরে আসা দেশি-বিদেশি ভিআইপিদের চলাচলে মারাত্মক হুমকি হতে পারে এই স্থাপনাগুলো। ভবনগুলো থেকে বিমানবন্দরের প্রতিটি স্পর্শকাতর স্থান দেখা যায়। বহুতল ৫টি ভবনের ছাদ ব্যবহার করে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।

অভিযোগ উঠেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই এ রকম একটি স্পর্শকাতর এলাকায় বেসরকারি মালিকানার ৫টি বহুতল ভবন করার অনুমতি দিয়েছে। ভবনগুলো চালু হলেই আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরটি বড় ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এলাকাজুড়ে তৈরি হবে চরম যানজট। এ অবস্থায় কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) কর্তৃপক্ষ, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), এনএসআই ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের ১টি ১২ তলা ৫ তারকা হোটেল, ১টি ১৩ তলা ৩ তারকা হোটেল ও ১টি ৬ তলা শপিং কমপ্লেক্স, ১টি ১২ তলা কার পার্কিং ও অফিস কমপ্লেক্স এবং ১টি ৩ তলা ব্যাংকুয়েট হল যাতে কোনোভাবে চালু করতে না পারে সেজন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ২০ জুলাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত কেপিআইডিসির সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ ঘটনায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি শাহজালালের সীমানা প্রাচীর থেকে নির্মিত ভবনগুলোর দূরত্ব নির্ধারণপূর্বক প্রতিবেদন তৈরি করে বেবিচক ও কেপিআইডিসির কাছে পাঠানো হবে।

সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষও সোমবার এক জরুরি সভায় কেপিআইডিসির এই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে ,দেশের দুটি শীর্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট ও ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানাধীন এই ভবনগুলো নিয়ে এখন বড় ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়েছে সরকার। ভবন নির্মাণের অনুমতি ও লিজ ছাড়পত্র দিয়েও বেকায়দায় আছে বেবিচক। ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেছে ২০২১ সালে। কিন্তু নানা বাধ্যবাধকতার কারণে এক বছর ধরে ভবনগুলো চালু করতে পারছে না। এ অবস্থায় বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছে ৪ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই প্রকল্পটি। কেপিআই কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, বহুতল ভবনগুলো চালু হলে বিমানবন্দর এলাকায় চরম যানজটের সৃষ্টি হতে পারে।

জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সঙ্গে বিওটি ও ল্যান্ড লেসি চুক্তির আওতায় বাস্তবায়নাধীন ইপকো হোটেল প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন ইপকো ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।

সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কেপিআই জরিপ কমিটি ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন পাঠায়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১ ‘ক’ শ্রেণির কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। ১২৯৮ একর জমির ওপর বিমানবন্দরের অবস্থান।

আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণে বিমানবন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিনিয়ত এই রুটে দেশি-বিদেশি যাত্রী আসা-যাওয়া এবং পণ্যবাহী বিমান ওঠানামা করে। কেপিআইর অভ্যন্তরে কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে কেপিআইডিসির অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক।

বেবিচকের একটি সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর বেবিচকের জরিপ কর্তৃপক্ষ কেপিআইডিসির কাছ থেকে ভবন নির্মাণের অনুমতি ও নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি নেই কোনো সংস্থার কাছে। এমনকি চুক্তির বিষয়টি কেপিআইডিসির সভাপতি ও জরিপ কমিটির সভাপতিকে অবহিত পর্যন্ত করা হয়নি।


সম্পর্কিত বিষয়:

বিমানবন্দর

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top