‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের সুযোগ নিতে আগ্রহী জাপান’
 প্রকাশিত: 
                                                ২৩ জুন ২০২২ ০২:১৭
 আপডেট:
 ২৫ জুন ২০২২ ২০:৪৮
                                                
 
                                        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতার কারণে প্রথম পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে মন্তব্য করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকো বলেছেন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিতে আগ্রহী জাপান।
মঙ্গলবার রাজধানীতে তার বাসায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত একসময় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হবে। জাপান সরকার ও জাইকা এই সরকারের নির্মাণ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা বিবেচনার অবস্থানে থাকবে। ’
দূত বলেন, ‘বর্তমানে জাপান সরকারের অবস্থান হচ্ছে আমরা বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের সহযোগিতা প্রস্তাবের সুযোগ নেব।
আমি নিশ্চিত যে এটি (পদ্মা সেতু) অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও সফল হবে। সুতরাং দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হবে একটি বাস্তবতা।’ ইতো বলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণকাজে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকলে টোকিও ভালো প্রযুক্তি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। জাপান এ পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে ছোট ও বড় ১৩৪টি সেতু নির্মাণে সহযোগিতা করেছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে তার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় একটি চমৎকার মাইলফলক। আর এটি বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ শেষ হয়েছে।
তিনি পদ্মা সেতুকে দেশের স্বপ্ন ও গর্ব হিসেবে অভিহিত করেন। বাংলাদেশ এর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কী করতে পারে এটি তার বড় প্রমাণ। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
দূত বলেন, এ মাসে পদ্মা সেতু এবং এ বছরের শেষ নাগাদ মেট্রো রেলসহ বিভিন্ন মানসম্মত অবকাঠামো উদ্বোধনের নজির সৃষ্টির মাধ্যমে ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, জাপান রূপকল্প-২০৪১ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় জাপান পাশে থাকবে। জাপান একটি শিল্প করিডর নির্মাণের জন্য বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজি-বি) উদ্যোগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি মেগাপ্রকল্পের ওপর দৃষ্টি দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
সূত্র : বাসস
সম্পর্কিত বিষয়:



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: