বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১


বেগম জিয়া ও তারেক অংশ নিতে পারবে না বলে বিএনপি নির্বাচনই চায় না: তথ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৬

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ০৮:২৬

ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম জিয়া ও তারেক অংশ নিতে পারবেন না বলে বিএনপি নির্বাচনই চায় না।

তিনি বলেন, ‘আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিধায় বিএনপি শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচনই চায় না। তারা বরং চোরাপথে কিছু করা যায় কিনা সে চেষ্টায় রয়েছে।’

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন এবং যে প্রক্রিয়ায় সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, বহু পুরনো গণতন্ত্রের দেশেও এটি করা হয় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব, যারা অতীতে অত্যন্ত সফলভাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে এবং বলিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, 'সবচেয়ে বড় কথা কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ প্রস্তাব করেছিলেন। সেখান থেকেই তার নামটা এসেছে এবং এজন্য জাফরুল্লাহ সাহেব অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, 'গণমাধ্যমে দেখলাম, তিনি কেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছেন সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এবং বিএনপিসহ সবারই এই নির্বাচন কমিশনের সাথে কাজ করা উচিত, সেই আহবান জানিয়েছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সবাইকে নিয়ে দেশে তিনি একটি অর্থবহ নির্বাচন করতে চান।'

আর বিএনপি আসলে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচনই চায় না উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির বড় সমস্যা হচ্ছে প্রথমত তারা মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাস আশ্রয়ী রাজনীতি করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে রক্ষা করার জন্যই তাদের পুরো রাজনীতিটা আবর্তিত হচ্ছে। আর দ্বিতীয়ত বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান আগামী নির্বাচন করতে পারবেন না কারণ তারা শাস্তিপ্রাপ্ত আসামী। সুতরাং বেগম জিয়া ও তারেক জিয়ার নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। যেহেতু তারা নির্বাচন করতে পারবেন না, এবং তাদের দলের পরবর্তী নেতা কে তা কেউ জানে না, সেজন্য তারা নির্বাচনটাই চায় না। তারা চায় চোরাপথে কোনো কিছু করা যায় কি না, যেটি এদেশের মানুষ কখনো হতে দিবে না।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের সময়ে বর্তমান সরকারই কেয়ারটেকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।

এসময় অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে বলেন, ত্রিপুরার আগরতলা ও আসামের গুয়াহাটিতে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনের পাশাপাশি আসামের রাজ্যপাল এবং ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের সাথেও আমার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের সাথে রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান পথে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক উপাদান আদান-প্রদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাস্তবায়নাধীন বহু প্রকল্প অনেক দূর এগিয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারলে তারা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি আমাদের অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।

সূত্র: বাসস

এসএন/তাজা/২০২২


সম্পর্কিত বিষয়:

তথ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top