সোমবার, ২৭শে অক্টোবর ২০২৫, ১১ই কার্তিক ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের জন্য সরকারি সুবিধা বাড়ানো হবে : তথ্য উপদেষ্টা


প্রকাশিত:
২৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:০৪

আপডেট:
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ০০:৩৩

ছবি : সংগৃহীত

সংবাদপত্র ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য সরকারি সুবিধা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, মিডিয়ার মালিকপক্ষকেও সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সাংবাদিকদের বেতন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সরকার সাংবাদিকদের প্রবেশ পদে একটি ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করতে চায়। যেসব মিডিয়া সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন দেবে না, তারা কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা পাবে না।

মাহফুজ আলম বলেন, সরকার বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচার ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করবে। সম্প্রচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজ হলে কোন টেলিভিশন চ্যানেল কতজন দর্শক দেখছেন, সেটাও জানা যাবে। যেসব টেলিভিশন চ্যানেলের পারফরমেন্স ভালো হবে, তারা ভালো বিজ্ঞাপন পাবে। এতে ভালো পারফরমেন্স দেখানো টেলিভিশন চ্যানেলের আয় বাড়বে।

নতুন টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার বিদ্যমান নীতিমালা মেনে নতুন টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন দিয়েছে। সরকার মিডিয়ার মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা দেখতে চায়। এজন্য নতুন মিডিয়া অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, কমিশন-প্রস্তাবিত আশু করণীয় ২৩টি সুপারিশ পর্যালোচনা করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু বিষয় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা জানান, সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া ইতোমধ্যে ভেটিংয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং শেষে এই অধ্যাদেশের খসড়া দ্রুত উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। পাশপাশি গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রণয়নের বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, অনলাইন মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের পরিধি অনেক বড়। পুরো অনলাইন মিডিয়াকে একটি কাঠামোতে আনার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। যেসব অনলাইন মিডিয়ায় কোনো কনটেন্ট প্রচার করলে অর্থ আয় হয়, সেসব অনলাইন মিডিয়া রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসা প্রয়োজন।

পত্রিকার প্রচারসংখ্যার বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে তিনি বলেন, পত্রিকার প্রচারসংখ্যায় অনেক অসংগতি রয়েছে। গত তিন মাসে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) দেশের অধিকাংশ পত্রিকার প্রচারসংখ্যা মনিটরিং করেছে। অনেক পত্রিকা প্রতিদিন ৫০০ বা ১০০০ কপি ছাপায়। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমানো হবে এবং বিজ্ঞাপন হার দ্বিগুণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্থায়ী গণমাধ্যম কমিশন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মপরিধি নতুন করে নির্ধারণ করতে হবে। এ কারণে স্বল্প সময়ে স্থায়ী গণমাধ্যম কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়।

গুজব প্রতিরোধ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সব মিডিয়ার একটি করে ফ্যাক্ট চেকিং টিম থাকা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, সরকার সংবাদিকতায় নৈতিকতা দেখতে চায়। এজন্য সাংবাদিকদের বেতন বাড়ানো জরুরি। দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে, যেখানে কপিরাইট লঙ্ঘন করে অন্য মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে কপিরাইট মেনে চলতে হবে।

মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top