‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য’
প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৬:০৬
আপডেট:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৩০

তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক সংলাপ এবং গণতান্ত্রিক চর্চাকে উৎসাহিত করতে ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন’ শীর্ষক এক কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার একটি হোটেলে এই কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভার্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুংয়ের (এফইএস) সহযোগিতার এ কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সিজিএস-এর প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে সিজিএস এর নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী এবং এফইএস বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার সাধন কুমার দাসও বক্তব্য রাখেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ডাকসু আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়। ছাত্ররা সব সময়ই ‘অ্যান্টি-এস্ট্যাবলিশমেন্ট’ ভূমিকা নিয়েছে, তাই জাতি সবসময়ই তাদের ওপর নির্ভর করেছে, আমাদের ইতিহাসও সেটাই বলে। কিন্তু সরকার কখনই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ডাকসু নির্বাচন দেয়নি। এর মূল কারণ দলীয় রাজনীতি। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনও ছিল সবচেয়ে দুর্বল ও লজ্জাজনক। আগামী জাতীয় নির্বাচন স্বাধীন ও সুষ্ঠু না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বর্তমান সরকারকেও নিরপেক্ষ বলে মনে করি না।
তিনি জানান, যে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে, সেখানেই জবাবদিহিতা ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য।
পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে, এমনকি বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার আগেও আমরা দেখেছি যে দেশের সব উত্থান-পতন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রধান সমালোচনার জায়গাটিও ছিল নির্বাচন। একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে পদক্ষেপগুলো প্রয়োজন, আজকের কর্মশালার মূল লক্ষ্য সে বিষয়ে আপনাদের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করা।
সাধন কুমার দাস বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সব উপাদানকে সুসংহত করতে হলে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার অপরিহার্য। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আজকের এই কর্মশালাটি গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ এম শাহান।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অংশগ্রহণকারীরা রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের ভিত্তি, আদর্শগত ব্যবধান ও সমসাময়িক রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে একসঙ্গে আলোচনা করেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: