সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে র্যাব
প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫২
আপডেট:
১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০০:১৪
বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার জঙ্গিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় যাতে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তদের ওপর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব।
র্যাব বলছে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না গিয়ে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত কেউ যদি কোনো অপরাধ/জঙ্গিবাদ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে। জঙ্গিবাদ দমনে পূর্বের ন্যায় ভবিষ্যতেও র্যাব ফোর্সেস ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে থাকবে।
বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস জানান, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদবিরোধী কার্যক্রমে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের আপসহীন ও জোরালো জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হয় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ৩০১৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে র্যাব।
তিনি বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রবিরোধী কিছু অপশক্তি দেশে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে বলে অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা চালাচ্ছে। উগ্রবাদে জড়িত দুষ্কৃতকারী চক্রগুলোকে চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে র্যাব ফোর্সেস অঙ্গীকারবদ্ধ।
মুনিম ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। জাতি-ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সবার উৎসব, অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী অপশক্তিকে বিন্দুমাত্র ছাড় না দিয়ে র্যাবের সব ব্যাটালিয়নকে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব জঙ্গিবাদ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টাকারী অপশক্তি বা গোষ্ঠীকে চিহ্নিতপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাবের প্রতিটি সদস্য বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: