সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


‘নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য বাণিজ্যভিত্তিক’


প্রকাশিত:
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৮

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৯

সংগৃহীত ছবি

পরিবেশকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভরতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, নীতিনির্ধারকরা এ নিয়ে অনেক কথা বলেন, কিন্তু তা বাণিজ্যভিত্তিক। তারা কাজও করবেন সেভাবেই।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির দুই দিনব্যাপী ২য় জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নবায়নযোগ্য শক্তি বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিল্পায়নের আগামী স্লোগানকে সামনে রেখে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিকের মানবাধিকার ও সমতা নিশ্চিত করা এবং জাতীয়ভাবে জীবাশ্ম-জ্বালানিভিত্তিক শক্তিতে বিনিয়োগ হ্রাসের দাবিতে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমানো, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা নিয়ে আমাদের কর্মপরিকল্পনা অনেক, কিন্তু বাস্তবায়ন কম। আমরা পরিবেশ বাঁচানোর কথা বলছি। আমরাই আবার সুন্দরবনের গাছ কাটছি, বান্দরবানে বাঁধ দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছি। তাই তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরি। এসব বিষয়গুলো নিয়ে তাদেরকে কাজ করতে হবে। না হলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড ক্লাইমেট জাস্টিস এবং ন্যাচারাল রাইটস বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইমরান হাসান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের টেকসই ও পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য শক্তি এবং আরএমজি খাতের বিকল্প জ্বালানির সম্ভাবনা ও গুরুত্ব উঠে আসে। আরএমজি খাত ৯৭ শতাংশ জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। যদিও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কিন্তু আরএমজি খাতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা ও পরিকল্পনা না থাকায় লক্ষ্য অর্জনে খুব সামান্যই এগোতে পেরেছে।

উপস্থাপনায় অক্সফ্যামের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়, যেখানে উঠে আসে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ মানুষ ৬৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের সমান কার্বন নিঃসরণ করে থাকেন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। এখানকার প্রান্তিক জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তরা শহরমুখী হচ্ছেন এবং পেশা পরিবর্তন করে বড় একটি অংশ তৈরি পোশাক খাতের সাথে যুক্ত হচ্ছেন এবং কর্মক্ষেত্রে নানানভাবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্য পূরণ না হলে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনবে না বলে জানাচ্ছে, যা করতে গিয়ে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হারানো এবং মজুরি কমিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। একটি প্রতিবেদনে এসেছে বাংলাদেশে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম ১০০ ডলার বেতন, যার মধ্যে ৩৬ ডলার খরচ হচ্ছে পুরো পরিবারের খাবারের পিছনে। যেখানে তারই বানানো একটি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয় প্রায় ৪ হাজার মার্কিন ডলারে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রথমদিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, সরকারি তিতুমীর কলেজ ঢাকা, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান-ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি), তেজগাঁও কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিযোগিতা আয়োজনে কারিগরি সহযোগিতায় রয়েছে ডিবেট ফর হিউম্যানিটি (ডিএফএইচ) এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top