সচিবালয়ে একবার ব্যবহারের প্লাস্টিক থাকবে না: পরিবেশমন্ত্রী
 প্রকাশিত: 
                                                ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪:১৭
 আপডেট:
 ১ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৪৬
                                                
 
                                        প্লাস্টিক দূষণ থেকে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য একক ব্যবহার হওয়া প্লাস্টিকের (এসইউপি) তালিকা তৈরি করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রমও শুরু করা হবে। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়কেও এসইউপিমুক্ত (সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত) করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং এ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে ১০০ কর্মদিবসের কর্মপরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে।
বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কাটা ও জলাধার ভরাট রোধসহ পরিবেশ সুশাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ কর্মপরিকল্পনা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি দ্রুত সাড়া দিতে মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সদিচ্ছা এবং অঙ্গীকারের প্রতিফলন হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার জনবল কাঠামো হালনাগাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি রক্ষার্থে সরকারি নির্মাণে ১০০ শতাংশ ব্লক ব্যবহারে সংশোধিত রোডম্যাপ অনুমোদন দেওয়া হবে এবং বায়ুদূষণের প্রতিটি উৎস থেকে সৃষ্ট দূষণ মোকাবিলায় ন্যূনতম একটি করে কার্যক্রম নেওয়া হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এসইউপির উৎপাদন ও ব্যবহার কমিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পণ্য প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারকদের পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বর্ধিত প্রযোজক জবাবদিহিতার (ইপিআর) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়াও শিল্প কারখানার ইটিপি কার্যকরভাবে চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সচিবালয়ের এসইউপিমুক্ত করার পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি অফিসে একই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হবে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: