‘ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরলেও মন পড়ে আছে গ্রামেই’
প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৩২
আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০১:২৬

ঢাকার বনানীতে একটি আইটি ফার্মে চাকরি করেন ইকবাল হাসান। ঈদের ঠিক দুদিন আগে ফিরেছিলেন গ্রামের বাড়িতে। ফিরতি পথে যানজটে না পড়লেও সড়কে ছিল ধীরগতি। আজ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরেছেন নির্ধারিত সময়েই, সড়ক ছিল ফাঁকা। নির্বিঘ্ন ফিরতি যাত্রাও মন ভরাতে পারেনি ইকবালের। মন যে পড়ে আছে গ্রামের বাড়িতে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর টেকনিক্যালে হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে নামা এ যাত্রী বলেন, অফিসে ছুটি কম। ঈদ ছাড়া বাড়ি যাওয়া হয় না বললেই চলে। এবার ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফিরে ঘুরেছি, আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় দাওয়াত খেয়েছি। বাবা-মা ভাই-বোন স্বজনদের ছেড়ে আসতে মনটা ভারাক্রান্ত হয়েছে। কর্মে ফিরলেও মনটা এখনো গ্রামেই। গ্রামের মতো নির্মল পরিবেশ পাবো অনেকদিন।
ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে খুলেছে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি অফিস। ঢাকায় ফিরছে ঘরমুখো মানুষ, চাপ বাড়ছে সড়কে। কোলাহল ফিরছে রাজধানীতে।
যাত্রী, পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কে এখনো যানজট তৈরি হয়নি। তবে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি চালু হলে চাপ বাড়বে সড়কে। রয়েছে যানজটের শঙ্কাও।
সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী রজব আলী মার্কেট, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, পর্বতা স্টপেজ, মাজাররোড ও টেকনিক্যাল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। এখন পর্যন্ত সড়কে যানজট না থাকায় রাজধানীতে ফেরা যাত্রী-চালকরা প্রকাশ করেছেন স্বস্তি।
পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সি-লাইন বাসের নারী যাত্রী শবনব আরা বলেন, ভোরে রওয়ানা দিয়ে কম সময়ের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছি। সড়ক একদম ফাঁকা। আবারো কর্মব্যস্ততায় ডুবে যাব। কিন্তু ঈদের ছুটির এ কদিনের সুখ স্মৃতি বড়ই মধুর।
সি-লাইন পরিবহনের বাসটি চালক দুলাল হোসেন বলেন, ছুটি শেষ, অফিস-আদালত খুলেছে। সড়কে যানজট তৈরি না হলেও যানবাহনের চাপ গত দুদিনের তুলনায় বেড়েছে। গার্মেন্টস অফিস এখনো খোলেনি। গার্মেন্টস চালু হলে সড়কে তৈরি হবে চাপ।
পঞ্চগড় থেকে শ্যামলী পরিবহনে ঢাকায় ফেরা যাত্রী রুস্তম আলী স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিক সময়েই চলাচলে দীর্ঘ সময় সড়কে থাকতে হয়। যানজট তৈরি হয়। ১৬/২০ ঘণ্টার আগে ঢাকায় ফেরা যায় না। তবে আজকের যাত্রা ভিন্নমাত্রার। সড়ক ফাঁকা, নির্বিঘ্ন যাত্রায় মাত্র ১০ ঘণ্টায় ফিরেছি ঢাকায়।
চাঁপাই-রাজশাহী থেকে ঢাকায় চলাচল করা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের চালক আব্দুল হামিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবারের মতো সড়ক আগে খুবই কম দেখেছি। পুরাই ফাঁকা। যথা সময়ের আগেই পৌঁছেছি। কিন্তু দুদিন পর হয়তো সেটা সম্ভব হবে না। তখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও গার্মেন্টস, কলকারখানার কর্মীরা ফিরবেন ঢাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাবতলীতে যানজট, গাড়ির অযথা জটলা এড়াতে ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের পুলিশ সদস্যরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমিনবাজার ব্রিজ, পর্বতা সিগন্যাল, মাজার রোড ও টেকনিক্যালের সিগন্যাল ও মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সরব উপস্থিতি।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: