৬ ঘণ্টায় গাইবান্ধা থেকে ঢাকা, আধা ঘণ্টায় উত্তরা থেকে গুলিস্তান
প্রকাশিত:
২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১৪
আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০২:০৩

ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছিলেন সোয়া কোটি মানুষ। ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে আবার কংক্রিটের শহরে ফেরার পালা শুরু হলেও রাজধানীতে এখনও ফেরেনি আগের ধারা।
অফিস-আদালত খুলে গেলেও উপস্থিতি কম। ঢাকার সড়কগুলোতে নেই আগের মতো কোলাহল, নেই চিরচেনা যানজট। ফাঁকা সড়কে নির্বিঘ্নে চলছে গাড়িগুলো। উত্তরা থেকে গুলিস্তান পৌঁছানো যাচ্ছে মাত্র আধা ঘণ্টায়।
একটি সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী মফিজুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরে এক আত্মীয়কে বিদায় জানানোর জন্য গুলিস্তান থেকে এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম। যেতে লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। ফিরতে মাত্র ৩৫ মিনিট। গুলিস্তান থেকে উত্তরা এমন নির্বিঘ্ন চলাচল আগে কখনও দেখিনি। ঢাকা যদি সবসময় এরকম ফাঁকাই থাকতো!
আল হামরা পরিবহনে গাইবান্ধা থেকে গাবতলী মাজার রোডের নামা যাত্রী কামরুজ্জামান বলেন, গাইবান্ধা থেকে গাবতলীতে পৌঁছেছি মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টায়। এখান থেকে মাত্র ২১ মিনিটে খিলগাঁও পৌঁছেছি ভাড়া বাসায়। রাস্তা এক রকম ফাঁকাই। সিগন্যালগুলোতে চাপ দেখিনি আগের মতো। আধা থেকে এক মিনিটে সিগন্যাল পার হয়েছি।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, ঢাকার ব্যস্ততম সড়কের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উত্তরা। ঈদের ছুটির কারণে উত্তরায় যানজট নেই, কোলাহল নেই সড়কে। নির্বিঘ্নে চলাচল করছে যানবাহন। আগামী দুই থেকে তিন দিন পর এই সড়কে ব্যস্ততা বাড়বে।
ডিএমপির মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শইমী ইমতিয়াজ বলেন, ব্যস্ত মতিঝিলে এখনও আগের মতো কোলাহল ফেরেনি। সড়কে নেই আগের মতো গাড়ির চাপ।
ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আমিনবাজার ব্রিজ, পর্বতা সিগন্যাল, মাজার রোড টেকনিক্যালে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা আছে। তবে কোনো চাপ নেই। সিগন্যাল, মোড়ে মোড়ে হচ্ছে না গাড়ির জটলা।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: