সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


তৃণমূলের ঐক্য-সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে : তথ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২৩ ০৭:১৯

আপডেট:
২০ মে ২০২৪ ০৩:১৭

ছবি সংগৃহিত

দলে তৃণমূলের ঐক্য, সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারাই দলের প্রাণ, আপনারাই দলের জীবনীশক্তি। সুতরাং আপনাদের ঐক্য, সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে, দলের শক্তি বাড়াবে।’

রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে-দেশ যে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অব্যাহত থাকবে না কি, দেশ পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য, সংহতি, সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি তৃণমূলের নেতাদেরকে অনুরোধ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তৃণমূলেই আওয়ামী লীগের প্রাণ। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে আমাদেরকে হারানোর শক্তি কারো নেই। যেখানে আওয়ামী লীগ হারবে মনে করতে হবে সেখানে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেনি। নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। কারণ গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। যে যতো কথাই বলুক, বিশ্বে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করে ‘দি ইকোনোমিস্ট’ রিপোর্ট ছাপিয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য দেশ পারছে না, আমরা পারছি।’

তৃণমূলের ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ় করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইদানিং কোথাও কোথাও এক বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় গত সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে যে, কমিটি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। তা না হলে সেটি বাতিল করা হবে। সুতরাং এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সম্মেলন করে আসা হয়, কমিটি হয় না, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও হয় না। এগুলো পরিহার করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই মাসে মিটিং ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। কিছুদিন পরপর বর্ধিত সভা যেমন থানা কমিটি হলে ইউনিয়নের ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা ডাকা প্রয়োজন। তাহলে দলের মধ্যে একটা ঐক্য-সংহতি তৈরি হয়।’

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, আসাদুজ্জামান নূর, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় নেতা শাহবুদ্দিন ফরাজি, আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রাবেয়া আলীম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top