রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত


প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫২

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ২৩:২৬

ছবি সংগৃহিত

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত।

রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে যাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুব সীমিত, সেখানে দক্ষ মানবসম্পদ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তরুণরাই আমাদের দেশের বিরাট শক্তি ও সম্পদ। এই তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, অবরোধ-পাল্টা অবরোধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। বেড়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। বহুমুখী দুর্যোগের মধ্যেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের শুরু থেকেই দুর্যোগ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত না থাকে সেজন্য বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে নানা দুর্যোগের মধ্যেও আমরা বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনের ধারা শুধু অব্যাহত নয়, তা আরও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালিরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা পাকিস্তানি শাসকরা করে গিয়েছিল। অবকাঠামোগত ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি এই জাতির অমূল্য সম্পদ বুদ্ধিজীবীদের তারা হত্যা করেছিল। সেরকম একটি ভঙ্গুর অবস্থা থেকে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার প্রসারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপতি এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দুইজন শিক্ষার্থী ও ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনজন। এবার সমাবর্তনে ১ হাজার ৭২৮ জন নিবন্ধন করেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top