হারাম খেলে, চুরি করলে উন্নয়ন সম্ভব না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
 প্রকাশিত: 
                                                ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪৭
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪০
                                                
 
                                        মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ঋণচুক্তির প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আইন না মেনে ঋণচুক্তি করে ইআরডি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় গলায় ফাঁসের মতো অবস্থা।
তিনি আরও বলেন, ইআরডি চুক্তির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না বুঝলে ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরের (মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি) মতো ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। মানুষ হারাম খেলে, চুরি করলে উন্নয়ন সম্ভব না। মানুষের চরিত্র ঠিক করতে হবে। চরিত্র ঠিক না করলে কোনো কাজ হবে না।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) আবদুল বাকি বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে উপস্থাপন করছিলেন। এক পর্যায়ে আবদুল বাকির কথায় দ্বিমত পোষণ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,‘তোমরা কীভাবে বৈদেশিক ঋণচুক্তি করো সেই প্রক্রিয়ার বিষয় জানতে চাই’।
সঠিক উত্তর না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার অনিয়ম এখান থেকে সৃষ্টি হয়। ফলে ঋণদাতারা তাদের নিজের মতো করে ঠিকাদার (নিয়োগসহ) অন্যান্য কাজ করে। এর ফলে প্রকল্পগুলোতে ব্যয় বৃদ্ধি ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও সময় বেড়ে যায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ইআরডির ঋণ চুক্তি সাংঘর্ষিক। ভেরি ফ্রিকুয়েন্টলি (বারবার) এটা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১২টার সময় চুক্তিসই করলো ইআরডি। কেউ যদি এই বিষয়ে আপত্তি করে মামলা করে তাহলে একজনও বাঁচতে পারবে না। ইআরডি এমনভাবে ঋণ চুক্তি করে যে বিষয়টা এমন আমি ঘুষ খেয়েছি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।
দেশের উন্নয়ন চাইলে চরিত্র ঠিক করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মানুষ হারাম খেলে, চুরি করলে উন্নয়ন সম্ভব না। মানুষের চরিত্র ঠিক করতে হবে। চরিত্র ঠিক না করলে কোনো কাজ হবে না। সারা পৃথিবীর মানুষ গবেষণা করে ঠিক করেছে দুর্নীতি দূর করতে চরিত্র ঠিক করতে হবে।
হার্ভার্ড, কেমব্রিজের বড় বড় গবেষক এক সঙ্গে বসে ঠিক করেছেন- গুড গভর্নেন্স না করলে উন্নয়ন সম্ভব না। গুড গভর্নেন্স বাস্তবায়ন করতে গেলে মানুষের চরিত্র ঠিক করতে হবে। চরিত্র ঠিক করতে মানুষের আচার-আচরণ, ধর্মীয় সংস্কৃতি মানতে হবে। এজন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) ঠিক করতে হবে। এটা অনেক কর্মকর্তা জানেন না।
সম্পর্কিত বিষয়:
মন্ত্রিপরিষদ


 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: