ট্রাইব্যুনালে নাহিদ
বিচারের মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের ফয়সালা করতে হবে
প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:০৮
আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫১

আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিচারের মধ্য দিয়েই তাদের ফয়সালা করতে হবে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এদিন ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তাকে জেরা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
নাহিদ বলেন, নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় এনে রাজনৈতিক ও আইনি সমাধান করতে হবে। কেননা এসব অপরাধ কোনো ব্যক্তিসংঘঠিত অপরাধ নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ট্র্যাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাবো। ট্র্যাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। শেখ হাসিনা যেহেতু দলীয় প্রধান ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই জনগণই প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে রাজনৈতিকভাবে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ। এজন্য দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা উচিত। এছাড়া গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন এই সাক্ষী।
এদিকে, জেরার সময় নাহিদকে প্রশ্ন করেন আমির হোসেন বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট আপনার ওপর চলা অত্যাচারের জন্য কেনো মামলা করেছেন কি-না।
জবাবে নাহিদ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অন্যায় হয়েছে, সেসব সমগ্র জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘঠিত অন্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব অন্যায় শুধু ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছিল বলে আমি মনে করিনি। সেজন্য ব্যক্তিগতভাবে কোনো মামলাও করিনি। তবে গুমের ঘটনায় গুম কমিশনে আলাদা অভিযোগ করেছি।
এদিন বেলা ১১টার পর দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে নাহিদের জেরা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় জেরা শেষে তিনি প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা সোয়া ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালে ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন এনসিপির এই আহ্বায়ক। দুপুরে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিরতি দেওয়া হয়। বিরতি শেষে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। তবে শেষ না হওয়ায় আজ অবশিষ্ট জেরা হয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: