অবশেষে জামিন পেলেন সেই জ্বালাময়ী জালাল
প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৩
আপডেট:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩০

কয়েক দফার চেষ্টায় অবশেষে জামিন পেলেন রুমমেটকে মারধর করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
জালালের আইনজীবীর করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেখায় তাকে জামিন দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট জালালকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। একইদিন তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই আসাদুল ইসলাম।
অন্যদিকে জালালের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় জামিনের আবেদন করেন জালালের আইনজীবী। কিন্তু তিনি শুনানিতে উপস্থিত হননি।
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর শুনানি হলে সেদিনও আদালত জালালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। অবশেষে তৃতীয়বারের আবেদনে তিনি রুমমেটকে মারধরের মামলায় জামিন পেলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট রাতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল নিজের কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে ঢুকে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালান এবং চেয়ার টানা হেচড়া করে বিকট শব্দ করতে শুরু করেন। তাতে রবিউলের ঘুম ভেঙে যায়।
এসময় তিনি জালালকে বলেন, ভাই সকালে আমি লাইব্রেরিতে যাবো, আপনি একটু আস্তে শব্দ করেন। জালাল তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে কাঠের চেয়ার দিয়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করেন। রবিউল তার হাত দিয়ে কাঠের চেয়ারের আঘাত প্রতিহত করলেও চেয়ারের কাঠের আঘাত তার কপালে জখম হয়।
পরে জালাল ওই রুমের ভেতর থাকা পুরনো টিউব লাইট দিয়ে রবিউলকে হত্যার উদ্দেশে তার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করেন। সেই আঘাত তার বুকে লেগে মারাত্মক জখম হয়।
ঘটনার দিনেই জালালকে ঢাবির হল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেন।
এদিকে কারাগারে থেকেই গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জালাল। কিন্তু ১৯টি হল থেকে তিনি মাত্র ৮টি ভোট পান।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: