শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


রিফাত হত্যা: রায়ের কপি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে মিন্নির বাবা


প্রকাশিত:
৪ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৩১

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১৩:৩৩

ছবি-সংগৃহীত

বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।

শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেয়েছেন মিন্নির বাবা।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয় মিন্নিই ছিলো রিফাত হত্যার মূল হোতা।

মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, রায়ের কপি আজ সন্ধ্যার দিকে হাতে পেয়েছি। রায়ের কপি নিয়ে মিন্নির বাবা আজ রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রোববার (০৪ অক্টোবর) উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য আবেদন করবেন।

তবে মিন্নির বাবার ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে কথা বলার সম্ভব হযনি।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আছাদুজ্জামান চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ছয় আসামির সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলেও তার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচার চলে এ আদালতে।

>>>রিফাত হত্যা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের ৭ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৪), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), হাসান (২০) ও মৃত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)।

এছাড়াও মামলার অপর চার আসামি রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২১), সাগর (২০), মুসা (২৩) ও কামরুল ইসলাম সাইমুনকে (২২) খালাস দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর মিন্নিসহ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই কনডেম সেলে রিফাত হত্যার ছয় আসামি ছাড়া অন্য কোনো বন্দিই নেই বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।

গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কিশোর গ্যাং বন্ড বাহিনী কুপিয়ে জখম করে রিফাত শরীফকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলেই বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত। পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ছয় দিনপর ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন এ মামলার আলোচিত প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড।

তদন্ত শেষে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে, ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামি এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় অভিযোগপত্রে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। পরে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার শুরু হয়। ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার ৭৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেন আদালত। ১৬ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।


সম্পর্কিত বিষয়:

বরগুনা আদালত মামলা

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top