ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
 প্রকাশিত: 
                                                ২১ জুন ২০২৩ ২২:১৯
 আপডেট:
 ১ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৫৫
                                                
 
                                        অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া মামলার অপর তিন আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ রায় ঘোষণার আগে মিজানকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানও আদালতে হাজির হন। এই তিনজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান পলাতক আছেন।
মিজানকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় ৩ বছর, ২৭ (১) ধারায় ৬ বছর এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সবগুলো সাজা একত্রে চলবে বলে জানিয়েছেন আদালত। ফলে তাকে ৬ বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
অপরদিকে বাকি তিনজনকে ২৭ (১) ধারায় ৩ বছর ও মানি লন্ডারিং আইনে ৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। সবগুলো সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাদেরও ৪ বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
গত ৫ জুন একই আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। গত ১২ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মঞ্জুর মোর্শেদ। এরপর ওই বছরের ২০ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ডিআইজি মিজান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: