শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


৮ পুলিশসহ এগারো জনের বিরুদ্ধে সেই সমর চৌধুরীর মামলা


প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:২৮

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ০২:৫৮

ফাইল ছবি

ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ‘ফাঁসিয়ে’ গ্রেপ্তারের পর শিক্ষানবিস আইনজীবী সমর কৃঞ্চ চৌধুরীকে ‘ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়ার’ অভিযোগে চট্টগ্রামে আট পুলিশসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৬৫ বছর বয়েসী সমর কৃঞ্চ চৌধুরী সোমবার নিজেই চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে এ মামলা করেন।

দুই বছরের বেশি সময় আগে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ওই ঘটনায় ঘটে। পরে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে ওই থানা থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়।

বোয়ালখালী থানার তখনকার এসআই মো. আতিক উল্ল্যা, ওসি হিমাংসু কুমার দাশ, এসআই আরিফুর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুল আলম আখন্দ, এসআই আবু বক্কর সিদ্দিকী, এসআই রিপন চাকমা, এএসআই আলাউদ্দিন, এসআই দেলোয়ার হোসেন, লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাশ, তার কেয়ারটেকার সজল দাশগুপ্ত (স্থানীয়ভাবে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত) এবং স্থানীয় ওয়ার্ডের চৌকিদার দিদারুল আলমকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সঞ্জয় দাশ ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে থানার পুলিশ সদস্যদের ‘ব্যবহার করে’ ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলার আর্জিতে।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী জুয়েল দাশ জানিয়েছেন।

আর্জিতে বলা হয়েছে, বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাশের সাথে লন্ডন প্রবাসী সঞ্জয় দাশের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। আর শিক্ষানবিস আইনজীবী সমর কৃঞ্চ আইনি বিষয়ে স্বপন দাশকে সহযোগিতা করতেন।

মামলায় বলা হয়েছে, আসামি সঞ্জয় দাশ চট্টগ্রামের ‘তৎকালীন ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে’ বোয়ালখালী থানার তৎকালীন ওসি হিমাংসু কুমার দাশ এবং অন্য পুলিশ সদস্যদের প্ররোচিত করে একটি মাদক মামলায় তিন নম্বর আসামি করেন সমর কৃঞ্চকে।

এরপর ২০১৮ সালের ২৭ মে সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যরা নগরীর কোর্ট রোড এলাকা থেকে সমরকে একটি মাইক্রোবাসে ‘তুলে নিয়ে’ বোয়ালখালী থানা হাজতে নিয়ে যায় এবং তৎকালীন ওসি হিমাংসু সেখানে তাকে ‘অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং লাথি মারেন’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গভীর রাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাতকড়া পরিয়ে সমরকে থানার বাইরে নিয়ে ঘোরাতে থাকেন এবং ‘ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা’ দাবি করেন। পরে তাকে নিয়ে তার সারোয়াতলীর বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।

সমর কৃষ্ণ বলছেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সে সময় ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে আবার থানায় ফেরত এনে ওসির কক্ষের সামনে দাঁড় করানো হয় এবং সঞ্জয় দাশ ও অন্য পুলিশ সদস্যরা মিলে ‘একটি অস্ত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে ছবি তোলেন’, যা পরে পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ওই অস্ত্র মামলার তদন্ত করে পিবিআই ২০১৯ সালের ১০ মার্চ আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে জানায়, সমর কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

তার আইনজীবী জুয়েল দাশ বলেন, “আমার মক্কেলকে মিথ্যা মামলার কারণে প্রায় দেড় মাস জেল খাটতে হয়েছে। তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে চারটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলায় আদালত থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় চালান দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।”

 


সম্পর্কিত বিষয়:

চট্টগ্রাম

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top