মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


১ লিটনের পরিবর্তে আরেক লিটন কারাগারে, তদন্তের নির্দেশ


প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:৩৭

আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:০৩

ছবি-সংগৃহীত

দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক লিটনের পরিবর্তে নিরাপরাধ(!) লিটনের কারাবন্দি থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারককে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

লিটনের মুক্তির জন্য কারাবন্দি লিটন এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

রাজধানী পল্টন থানার একটি মামলায় দুইবছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে লিটনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, মূল আসামির পরিবর্তে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে ‘শুধু নাম ঠিকানা মিলে জেল খাটছেন দিনমজুর’ শিরোনামে গত ২২ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিরাপরাধ লিটনের মুক্তি চেয়ে গত ২৪ আগস্ট রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে লিটনের পরিচয় নিশ্চিতকরণে তাকে স্বশরীরে অথবা ভার্চুয়ালি হাইকোর্টে হাজির করা, তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া এবং তার আটকাদেশ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামি আর কারাবন্দি লিটনের পিতার নাম, গ্রাম-সবই এক। তবে দাদার নাম ও বয়স ভিন্ন। মামলার নথি অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত লিটনের বর্তমান বয়স ৪১ বছর। আর কারাবন্দি লিটনের বয়স এখন ৩০ বছর। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত লিটনের পিতা মারা গেছেন ৩০ বছর আগে। আর বন্দি লিটনের পিতা মারা গেছেন ১০ বছর আগে।

অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান জানান, সাজাপ্রাপ্ত লিটনের দাদার নাম আবুল হক। আর কারাবন্দি লিটনের দাদার নাম হাবি দরবেশ।

ভারত ও পাকিস্তানের তৈরি আমদানি নিষিদ্ধ চেতনানাশক ট্যাবলেটসহ লিটন, শামীম ও আরশাদ মিয়াকে ২০০৯ সালের ২৮ জুন পল্টন থানার আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হয়। পরে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করে। তবে এই মামলায় বিচার শেষে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ আসামিদের দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এই রায়ের পর গতবছর ৭ ডিসেম্বর লিটনকে (নিরাপরাধ!) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top