ইন্টেলের পর আরো কম্পানিতে অংশীদারি ‘নিতে পারে’ মার্কিন সরকার
প্রকাশিত:
২৫ আগস্ট ২০২৫ ২১:৪৪
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ০২:৪১

যুক্তরাষ্ট্র সরকার চিপমেকার ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারি নেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হাসেট সোমবার বলেছেন, অন্যান্য কম্পানিতেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের পরিচালক হাসেট সিএনবিসি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত’, কোনো না কোনো পর্যায়ে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বা অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘আরো লেনদেন হবে’।
তিনি তখন এমন একটি প্রশ্নের জবাবে দিচ্ছিলেন, যেখানে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সম্প্রতি ঘোষিত যে লেনদেনে মার্কিন সরকার ইন্টেলে ১০ শতাংশ ইকুইটি শেয়ার নেবে, তা কি অন্যান্য শিল্পেও এমন পদক্ষেপের সূচনা। এসব শিল্পে সরকারি তহবিল ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইন্টেল একটি বিবৃতিতে আগে জানিয়েছিল, তাদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন সরকার ৪৩৩.৩ মিলিয়ন সাধারণ শেয়ার পাবে, যা কম্পানির ৯.৯ শতাংশ অংশীদারির সমান।
এটি মোট ৮.৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সমতুল্য, যার অংশ হিসেবে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার অনুবাদ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা চিপস অ্যান্ড সায়েন্স অ্যাক্টের অধীনে প্রদত্ত হয়েছে কিন্তু এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এই আইনটি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে পাস হয়েছিল, যার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।
হাসেট সোমবার বলেন, আগে ফেডারেল সরকার কম্পানিকে শুধু অর্থ দিত।
কিন্তু ইন্টেলের মতো সম্ভাব্য চুক্তির ক্ষেত্রে ‘এসব শেয়ারে ভোটাধিকার থাকবে না’ বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মার্কিন সরকার কম্পানিগুলোর পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করবে না বলে পরিকল্পনা করছে।
কম্পানির ঝুঁকি
এদিকে ইন্টেল সোমবার একটি নথিতে সতর্ক করেছে, সরকারের ইকুইটি অংশীদারি ভবিষ্যতে সরকারি সংস্থাগুলো থেকে অনুদান পেতে এর ক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য ঝুঁকিও রয়েছে।
তহবিলটি কখন পাওয়া যাবে এবং তহবিলের শর্ত পূরণের ক্ষমতা এখনো ‘অস্পষ্ট’ বলেও ইন্টেল উল্লেখ করেছে।
ইন্টেল আরো জানিয়েছে, মার্কিন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারহোল্ডার হওয়ায় এর আন্তর্জাতিক ব্যবসার ওপর ‘প্রতিকূল প্রভাব’ পড়তে পারে।
এদিকে চুক্তির সমালোচকরা সতর্ক করে বলেছেন, ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তে রাজনীতির প্রভাব দেখা দিলে এটি কম্পানির কার্যকারিতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদে ফিরে আসার পরপরই হোয়াইট হাউস বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের জন্য একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল স্থাপনের পরিকল্পনা প্রকাশ করে।
সার্বভৌম সম্পদ তহবিল হলো একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ তহবিল, যা দেশের অতিরিক্ত রিজার্ভ পরিচালনা করে।
সাধারণত এটি প্রাকৃতিক সম্পদ বা অতিরিক্ত বাণিজ্য আয় থেকে উদ্ভূত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি রিটার্ন অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
হাসেট উল্লেখ করেছেন, এখন পর্যন্ত ইন্টেলের সঙ্গে নির্দিষ্ট চুক্তিটি ‘একটি অত্যন্ত বিশেষ পরিস্থিতি থেকে এসেছে। কারণ ইন্টেলের জন্য চিপস অ্যাক্ট থেকে বিপুল তহবিল আসছিল’।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: