অস্ত্র রপ্তানি আরও বাড়াবে রাশিয়া, ঘোষণা পুতিনের
প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৫ ১৫:২৫
আপডেট:
২৪ মে ২০২৫ ১৯:৫০

সামনের দিনগুলোতে রাশিয়া সমরাস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
পুতিন বলেছেন, সমরাস্ত্রের আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করার জন্য এই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, গোলাসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্রের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে রুশ কোম্পানিগুলো। তবে এসব সমরাস্ত্রের বড় অংশই পাঠানো হচ্ছে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর কাছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানির হার কমে গেছে। সুইডেনভিত্তিক থিংঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) তথ্য অনুসারে, ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানির হার হ্রাস পেয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ এই পর্বের আগের চার বছর, অর্থাৎ ২০১৫ থেকে ’১৯ পর্যন্ত রপ্তানির হার বেড়েছিল ১৪ শতাংশেরও বেশি।
সর্বাধুনিক ও নিখুঁত সমরাস্ত্র তৈরিতে খ্যাতি রয়েছে রুশ কোম্পানিগুলোর। বিশ্বের বহু দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনে। তবে রুশ অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ৩ দেশ— চীন, ভারত ও মিসর।
শুক্রবারের ভাষণে পুতিন বলেন, “আমাদের কাছে ক্রেতাদের বিপুল পরিমাণ অর্ডার জমে আছে। এসব অর্ডারের সর্বমোট আর্থিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি ডলার। যেহেতু আমরা অর্ডার নিয়েছি, তাই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী অস্ত্র সরবরাহ করতে হবে। ফলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের অস্ত্রের উৎপাদন ও রপ্তানি আরও বাড়বে।”
ভাষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, “ভবিষ্যতের সমরাস্ত্রের বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে প্রযুক্তিভিত্তিক অস্ত্র। সামনের দিনগুলোতে এ খাতে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে এবং আমরা তাতে অংশ নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
সূত্র : রয়টার্স
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: