মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনিতে কাতার এয়ারলাইন্সের ১২ যাত্রী আহত
 প্রকাশিত: 
                                                ২৬ মে ২০২৪ ২০:০৫
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:০৮
                                                
 
                                        মাঝ-আকাশে ঝোড়োগতির বাতাসের জেরে তীব্র ঝাঁকুনিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের একজনের প্রাণহানি ও শতাধিক যাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে কাতার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। রোববার কোতারের রাজধানী দোহা থেকে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে যাওয়ার পথে কাতার এয়ারলােইন্সের ওই ফ্লাইটের অন্তত ১২ যাত্রী আহত হয়েছেন।
ডাবলিন বিমানবন্দরের পরিচালনাকারী সংস্থা ডিএএ বলেছে, দোহা থেকে যাত্রা শুরু করার পর তুরস্কের আকাশে থাকাকালীন তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়েছে কাতার এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার। পরে আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার কিছুক্ষণ আগে ডাবলিন বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। এ সময় বিমানবন্দর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাসহ জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট কিউআর০১৭ পরিদর্শন করেন।
মাঝ-আকাশে ঝোড়ো বাতাসের কারণে কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটের অন্তত ছয় আরোহী ও ছয়জন ক্রেবিন ক্রু আহত হয়েছেন। ডিএএর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডাবলিন বিমানবন্দর টিমের সদস্যরা যাত্রীদের এবং বিমানের কর্মীদের সম্পূর্ণ সহায়তা দিয়েছেন।
তবে এই ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রমে কোনও ধরনের প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে ডিএএ। দোহা থেকে ডাবলিনগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যার কয়েকদিন আগেই একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।
গত সপ্তাহে ২১ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ফ্লাইট ঝোড়োগতির বাতাসের কবলে পড়ে। ওই দিন মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের ব্রিটিশ এক যাত্রী নিহত ও আরও শতাধিক আহত হন।
রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ওই ঘটনায় ১০০ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় এখনও নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।
পরে এই ঘটনার জন্য সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোহ চুন ফং ক্ষমা চান। তিনি বলেন, ‘‘আকস্মিক তীব্র ঝাঁকুনিতে আঘাতপ্রাপ্ত বিমানের প্রত্যেক আরোহীর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’’ সিঙ্গাপুরের সরকার এই ঘটনায় তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: