রাখাইনে বিদ্রোহীদের কাছে সেনাসহ ৫০০ জনের আত্মসমর্পণ
 প্রকাশিত: 
                                                ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৩
 আপডেট:
 ১ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:১১
                                                
 
                                        মিয়ানমারের রাখাইনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি— সামরিক জান্তাকে হটিয়ে দিয়ে মিনবায়ার তিনটি ব্যাটালিয়নের সবগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ।
কয়েকটি সূত্র নারিনজারাকে জানিয়েছে, সব মিলিয়ে আরাকান আর্মির কাছে পাঁচশরও বেশি জন আত্মসমর্পণ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন জান্তার বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, জান্তা বাহিনীর ডিভিশন কমান্ডার, নন-কমিশন্ড কর্মকর্তা, আহত ১০০ সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সূত্রটি বলেছে, “গতকাল থেকে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে একজন ডিভিশন কমান্ডার রয়েছেন। এছাড়া ১০০ জনেরও বেশি সেনা আহত হয়েছে। আজ সকালে, তারা সবাই আত্মসমর্পণ করেছে।”
মিনবায়ার এক বাসিন্দা নারিনজারা নিউজকে জানিয়েছেন, সেখানে একমাত্র অবশিষ্ট ছিল ৩৭৯ নং লাইট ইনফ্রেন্ট্রি ব্যাটালিয়ন। সোমবার এই ব্যাটালিয়নটিও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বিদ্রোহীরা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার চারটি গাড়িতে করে প্রায় ১০০ যুদ্ধবন্দি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যায় আরাকার আর্মির সদস্যরা।
“সেখানে একশরও বেশি সেনা ছিল। অনেক নারী, শিশু এবং আহতদের সেনাদের সঙ্গে দেখা গেছে। আমি একটি ব্রিজ থেকে এই দৃশ্য দেখেছি।” বলেছেন এই প্রত্যক্ষদর্শী।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আঞ্চলিক প্রশাসক এবং বিভাগীয় কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা নিজেদের সঙ্গে মুরগি, শূকর ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
মিনবায়ার সামরিক জান্তার ৩৮০ নং, ৩৭৯ নং ও ৫৪১ নং নামের তিনটি ব্যাটালিয়ন ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি বিদ্রোহীরা ৩৮০ নং ব্যাটালিয়নটি দখল করেছিল। এর প্রায় ১০ দিন পর আরেকটি ব্যাটালিয়ন দখল করেছে তারা।
রাখাইনের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ছাপ পড়েছে বাংলাদেশেও। সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় বাংলাদেশের অনেক মানুষ নিজ-বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: