জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় হতাহত ৩৭, কী করবে যুক্তরাষ্ট্র?
 প্রকাশিত: 
                                                ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ০৯:৫৯
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৫
                                                
 
                                        জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় অন্তত তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জনকে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, সিরিয়া সীমান্তের কাছে জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে একটি ড্রোন হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। খবর সিএনএনের
গতবছর ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ওই অঞ্চলে কোনো হামলায় মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। যদিও গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ঘাঁটিতে হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এতদিন কেউ নিহত হয়নি।
সিরিয়া ও ইরাক থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাঝেই ঘটল এক নতুন ঘটনা। এবার জর্ডানে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা হয়েছে।
নতুন হামলা নিয়ে বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমরা এখনো এ হামলা-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছি। তারপরও আমরা জানি, সিরিয়া ও ইরাকে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইরান-সমর্থিত মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো এ হামলা চালিয়েছে।’
জো বাইডেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এ হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা সময়মতো আমাদের পছন্দমতো কায়দায় জবাবদিহির আওতায় আনব।’
হামলায় হতাহতদের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। জর্ডানে বর্তমানে তিন হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। যে ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে সেখানে অন্তত ৩৫০ মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইএসকে পরাজিত করতে ও সরকারের সঙ্গে কাজ করতে জর্ডানে অবস্থান করছে এসব মার্কিন সেনা।
ইরাকের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী জর্ডান-সিরিয়া সীমান্তে একটি সহ তিনটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে। হামলার পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জর্ডান বলেছে যে, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে।
এর আগে এ মাসের শুরুতে সোমালিয়া উপকূলে একটি নৌযানে অভিযান চালানোর সময় দুই মার্কিন সেনা নিখোঁজ হন। পরে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। যে নৌযানে অভিযান চালানো হয়েছিল সেটিতে করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে ধারণা করা হয়।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: