দ্বিপাক্ষিক চুক্তি
নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করছে চীন-থাইল্যান্ড
 প্রকাশিত: 
                                                ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১৪:৫৬
 আপডেট:
 ১ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:৫৫
                                                
 
                                        করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ভ্রমণ ও পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করতে চীন এবং থাইল্যান্ড নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করছে। একে অপরের নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালুর বিষয়ে রোববার দ্বিপাক্ষিক একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে উভয় দেশ।
ব্যাংককে এক বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ভিসামুক্ত প্রবেশের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদধা-নুকারা ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। আগামী ১ মার্চ থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে। এর ফলে চীন-থাইল্যান্ডের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই পরস্পরের দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ব্যাংককে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘‘এই ভিসামুক্ত যুগ উভয় দেশের মানুষে মানুষে বিনিময়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে পর্যটন শিল্প নির্ভর। থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় উৎস চীন। করোনাভাইরাস মহামারির আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম আয়ের উৎস ছিল এই খাত। মহামারির অবসান ঘটলেও দেশটিতে চীনা পর্যটকদের প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত ধীর হয়েছে।
ওয়াং ই বলেন, নতুন চুক্তির ফলে থাইল্যান্ড ভ্রমণে চীনা পর্যটকদের সংখ্যায় এখন বড় উল্লম্ফন দেখা যাবে।
করোনাভাইরাস মহামারির আগে ২০১৯ সালে কেবল চীন থেকেই এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু গত বছর দেশটিতে চীনা পর্যটকদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যায়। ওই বছর মাত্র ৩৫ লাখ চীনা পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বৈঠকে চীন-থাইল্যান্ড রেলওয়ে নেটওয়ার্কের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং এবং ব্যাংকক। একই সঙ্গে আন্তঃদেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও যৌথভাবে কাজ করবে উভয় দেশ।
এর আগে, গত শুক্রবার ও শনিবার ব্যাংককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ওয়াং ই। ওই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ তাইওয়ান, ইরানের সাথে মার্কিন সংকট নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: