গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
 প্রকাশিত: 
                                                ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:৪৩
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৫
                                                
 
                                        ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে নয়জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে (আগে যার নাম ছিল টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর ফিলিস্তিন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্টের (ইউএনআরডব্লিউএ)- গাজার পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেছেন, ‘৮০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন এমন একটি ভবনে ট্যাংকের দুটি গোলা আঘাত হানে। এতে নয়জন নিহত হয়। আহত হন আরও ৭৫ জন।’নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি গাজার এই আশ্রয়কেন্দ্রে হামলাকে ‘যুদ্ধের মৌলিক নিয়মের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা’ বলে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানান।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই কম্পাউন্ডটি জাতিসংঘের অবকাঠামো হিসেবে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত এবং এর অবস্থানও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছিল। যেমনটি আমরা আমাদের সমস্ত অবকাঠামোর ক্ষেত্রে করে থাকি।’
গাজার শাসক দল হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায়। এর জবাবে ওই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তী সময়ে গাজায় স্থল হামলাও শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।
হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিকামী মানুষ বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করলেও তা উপেক্ষা করে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। আওতা বাড়িয়ে গাজার কেন্দ্রস্থলে শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্থলহামলা চালায় দখলদার দেশটি। ইতোমধ্যে বুরেইজি, নুসেইরাত, মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বহু মানুষের প্রাণ গেছে। জাতিসংঘ এসব মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: