শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


নিহত বেড়ে ৩৩

কলম্বিয়ায় ভারী বর্ষণের জেরে ভূমিধস


প্রকাশিত:
১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:১৯

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ২২:৩৮

ফাইল ছবি

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। এছাড়া এই ভূমিধসের ঘটনায় দেশটির মেডেলিন এবং কুইবডো শহরের মাঝে সংযোগকারী সড়কও বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে আটকে পড়া মানুষের কাছে পৌঁছাতে উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে দেশটি। রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলোম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে হওয়া ভূমিধসে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ লিখেছেন, ‘এই ট্র্যাজেডিতে ৩৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত। ওই অঞ্চল থেকে পাওয়া প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে নিহতদের বেশিরভাগই শিশু।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে, আটকে পড়া লোকদের জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বিকেলে দেশটির মেডেলিন এবং কুইবডো শহরে একাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে শহর দুটির মাঝে সংযোগকারী সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ভূমিধসের সময় সেখানকার ব্যস্ত মহাসড়কেও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এমনকি রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি কাদায় চাপা পড়ার পর কিছু লোক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

কলম্বিয়ার পুলিশের একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল শনিবার বেশ কিছু জীবিত মানুষকে উদ্ধার করার পাশাপাশি নিহত কয়েকজনের মৃতদেহও উদ্ধার করেছে। তবে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ থাকায় উদ্ধারকারী ও দমকলকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য কার্যত লড়াই করছেন।

এদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো প্রোতো চোকো অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ বলেছেন, ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

কারমেন ডি আত্রাতোর মেয়র জেইম হেরেরা স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর এবং অন্যরা এখনও মাটির নিচে চাপা পড়েছেন। তবে ঠিক কতজন মাটির নিচে চাপা পড়েছেন তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে বর্তমানে খরা মৌসুম চলছে। তবে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং আমাজন বনের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির জলবায়ু, আবহাওয়া ও পরিবেশ বিদ্যা সংস্থা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top