গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ জন নিহত
 প্রকাশিত: 
                                                ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৮
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৫
                                                
 
                                        গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দিয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া, মধ্যাঞ্চলেরর আল-মাগাজি ও দক্ষিণের খান ইউনিসের বাড়িতে আঘাত হানে ইসরায়েলি বিমান।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার সকালে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলার পর খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে ফিলিস্তিনি শিশুদের নিয়ে আসা হয়।
অপরদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বুধবার চ্যানেল ১৪-এর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারের সময় গাজা থেকে শরণার্থীদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুক দেশগুলোকে "একটি ইমেল পাঠাতে" বা "কল" করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ১১০ জন।
গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৫ হাজার ২৪৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: