গাজায় সাংবাদিক হত্যা
দ্বিতীয়বার আইসিসিতে অভিযোগ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের
 প্রকাশিত: 
                                                ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১৪
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৫
                                                
 
                                        ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে সাংবাদিক নিহতের ঘটনা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিসি) দ্বিতীয়বারের মতো লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারর্স (আরএসএফ)।
লিখিত অভিযোগে আইডিএফের অধীন ইসরায়েলি স্থল বাহিনী ও বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স। সেই সঙ্গে আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খানকে প্রধান করে এ বিষয়ে একটি তদন্ত দল গঠন ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার অনুরোধও জানিয়েছে আরএসএফ।
‘গত আড়াই মাসে গাজা উপত্যকায় যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন— আমাদের অনুরোধ আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটরকে (করিম আহমেদ খান) প্রধান করে একটি তদন্ত দল গঠন করা হোক এবং প্রতিটি হত্যার তদন্ত হোক,’ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে আরএসফ।
আরএসএফের হিসেব অনুযায়ী, গত আড়াই মাসে গাজায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন মোট ৬৬ জন সাংবাদিক। তবে শনিবার গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের শরু থেকে েএ পর্যন্ত গত আড়াই মাসে গাজায় মোট ৯৯ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
সর্বশেষ নিহত সাংবাদিকের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করেছে জনসংযোগ বিভাগ। ওই সাংবাদিকের নাম মোহাম্মদ খলিফা। গাজার হামাসপন্থী টেলিভিশন চ্যানেল আল আকসা টিভির এই সংবাদকর্মী বৃহস্পতিবার উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলায় সপরিবারে নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু,অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।
সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর প্রথমবার আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছিল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স।
বস্তুত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের গত আড়াই মাসে সেখানে যত সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী আর কোনো যুদ্ধে এত সংবাদকর্মী নিহতের নজির নেই।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: