পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিক্ষোভ, একাধিক নেতা আটক
 প্রকাশিত: 
                                                ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:২৬
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:০৯
                                                
                                        ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এরই অংশ হিসেবে দলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করলে বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারগ্যাস, জলকামান ছুড়েছে পুলিশ। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতেই বিজেপির এই কর্মসূচি। বড় ধরনের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কলকাতায় রাজ্য সচিবালয় নবান্নের দিকে মিছিল করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা।
সাঁতরাগাছিতে মিছিল শুরু করতে যাওয়ার আগেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে আটক করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানে করে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাওড়া ব্রিজের কাছে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকজন নারীসহ বিজেপি কর্মীদের আটক করে পুলিশ। এদিকে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
রানিগঞ্জেও বিজেপির দলীয় কর্মীদের আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ‘নবান্ন অভিযানে’ যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থান এবং প্রতিবেশী হাওরা থেকে বিজেপির শত শত সমর্থক আজ মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় পৌঁছান।
পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে উত্তর কোরিয়ায় পরিণত করেছেন মমতা।
শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতি তার রাজ্যের জনগণের সমর্থন নেই। তাই তিনি পশ্চিমবঙ্গের ওপর উত্তর কোরিয়ার মতো একনায়কত্ব প্রয়োগ করছেন। পুলিশ যা করছে তার মূল্য দিতে হবে। বিজেপি আসছে। এদিকে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে নবান্ন অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুভেন্দু অধিকারী যখন সাঁতরাগাছিতে থেকে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তখন দিলিপ ঘোষের নেতৃতত্বে কলকাতার উত্তর দিক থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। দলের ‘গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ’ জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা করছেন বলে মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন রাহুল সিনহা।
সম্পর্কিত বিষয়:
কলকাতা


                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: