শ্রমজীবীদের করোনার ফ্রি সুরক্ষাসামগ্রী দিতে হবে: ড. নাজনীন
 প্রকাশিত: 
                                                ৩ অক্টোবর ২০২০ ০২:০২
 আপডেট:
 ৩ অক্টোবর ২০২০ ০২:০৯
                                                
 
                                        স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষের বিনামূল্যে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের (বিআইডিএস) অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। প্রতি বছরে যত কর্মক্ষম মানুষ আমাদের শ্রমবাজারে প্রবেশ করে, স্বাভাবিক সময়েই তাদের কর্মসংস্থান করা সম্ভব হয় না। সেখানে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের প্রভাবে অনেক মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর, রাস্তার পাশের ছোট দোকানদার, ফুটপাতে বিভিন্ন জিনিসের ব্যবসা করা লোকজন, রিকশাচালক, ফেরিওয়ালাসহ অনেকেই।
‘বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় তারা আবার কাজে ফিরতে চেষ্টা করছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না শ্রমজীবী মানুষদের কাজে ফেরাটা ইতিবাচক। ’
তিনি বলেন, করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে আমরা দেখেছি দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা। এর কারণ হচ্ছে সেই সময় মানুষের টাকা-পয়সা উপার্জনের কোনো উপায় ছিল না। ফলে অনেকেই নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। তাই এসব মানুষের কর্মসংস্থানে ফেরার অর্থ হচ্ছে করোনাকালীন দারিদ্র্যের ওপর যে অতিরিক্ত চাপ পড়েছিল, সেই অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তি আসবে।
নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রসঙ্গে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে শ্রমজীবী মানুষদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনেক সীমিত। ফলে এখনও যে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার, সেই সচেতনতা ও সক্ষমতা তাদের নেই। পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষেরা জীবিকার স্বার্থে করোনা আতঙ্কও আমলে নিচ্ছেন না।
‘এই মানুষগুলো যেহেতু খুব স্বাস্থ্য সচেতন নয়, ফলে তাদের কাজে ফেরার মধ্য দিয়ে করোনা ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। শ্রমজীবী মানুষেরা যেহেতু শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে, তারা যেহেতু বেশিরভাগ সময়েই বাইরে রোদে কাজ করে। ফলে তাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। আমরা জানি এই রোগে ভিটামিন ডি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই শ্রমজীবী মানুষের করোনায় হয়তো কোনো ক্ষতি হবে না, তবে তাদের থেকে পুরো সমাজে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়তে পারে ‘
ড. নাজনীন আরো বলেন, এসব শ্রমজীবী মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতন করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের মাস্ক, হাত ধোয়ার সাবানসহ করোনা ভাইরাসের সুরক্ষাসামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: