বন্ধ থাকবে সব সিনেমা হল
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না নতুন সিনেমা
 প্রকাশিত: 
                                                ২১ মে ২০২০ ১৭:৩৭
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:২৪
                                                
 
                                        বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশে দিন দিন এর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকবে। তাই এবারের ঈদে নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না। সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। রোজার ঈদের বড় বাজেটের চলচ্চিত্র ‘মিশন এক্সট্রিম’ পিছিয়ে গেছে। আরও মুক্তির কথা ছিল দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ‘বিদ্রোহী’ ছবিটি। জানা গেছে, গত ১৫ বছরে এবারই প্রথম, যে ঈদে শাকিব খানের চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে না।
এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে মুক্তির আলোচনায় ছিল আরিফিন শুভ অভিনীত ‘মিশন এক্সট্রিম’, সিয়াম আহমেদের ‘শান’ ও ইয়াশ রোহানের ‘পরাণ’। তবে করোনার কারণে এ তিনটি চলচ্চিত্রও মুক্তি পিছিয়ে গেল। গত পাঁচ-ছয় বছরে ঈদে গড়ে তিন-থেকে চারটি বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র মুক্তি পেত। মূলত ঈদের জন্যই হল মালিকরা সারা বছর অপেক্ষা করত। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে তিনটি ছবি। মালেক আফসারীর ‘পাসওয়ার্ড’, সাকিব সনেট পরিচালিত ‘নোলক’ এবং অনন্য মামুন পরিচালিত ‘আবার বসন্ত’।
ঈদই হল মালিকদের বেঁচে থাকার সম্বল উল্লেখ করে হল মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ঈদটাই হলো হল মালিকদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। অনেক মালিকই এখন প্রায় নিঃস্ব। তাই আমরা চেয়েছিলাম, পুরনো ছবি হলেও হলটা যেন চালু থাকে। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের তরফ থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ এসেছে। আমরা সে সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। তাই এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতরে সব হল বন্ধ থাকছে।
প্রদর্শক সমিতির বর্তমান সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ বলেন, আমাদের মূল ব্যবসা হয় দুইটা ঈদে। সারা বছর ঈদের জন্য আশায় বুক বেঁধে বসে থাকি। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এই মুহূর্তে সিনেমা হল বন্ধ রাখাটাই ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমে তো আমাদের জান বাঁচাতে হবে। এখন এ মুহূর্তে সিনেমা প্রদর্শনের কোনো সুযোগই ছিল না। আমাদের পুরো দেশটাই এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। পুরো দেশ এখন করোনাভাইরাস নিয়ে যুদ্ধ করছে। ভালো থাকাটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঈদের জন্য তৈরি করা এসব ছবির প্রতিটির বাজেট আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। ঈদ উৎসবে এ ছবিগুলো পিছিয়ে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন প্রযোজকরা। ঈদে কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি না পাওয়ায় বিশাল আর্থিক ক্ষতি উল্লেখ করে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, যদিও একটা খারাপ অবস্থায় ছিল আমাদের চলচ্চিত্র।
কিন্তু দেশীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে ২০২০ সালের ঈদের মতো খারাপ অবস্থায় কখনও যায়নি। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা। মিশন এক্সট্রিম ছবির প্রযোজক ও অন্যতম পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ঈদে ছবিটি থেকে যে ধরনের লাভের আশা করেছিলাম, বছরের অন্য সময়ে মুক্তি দিলে লাভ তো হবেই না, বরং বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হতে পারে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: