বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০শে মাঘ ১৪৩১


তদন্তের পর ব্যবস্থা

বেতন-ভাতা আপাতত চালু থাকবে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের


প্রকাশিত:
১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ১০:৫৩

আপডেট:
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৩

ছবি সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তদন্তে যারা নির্দোষ প্রমাণিত হবে তাদের স্বপদে বহাল করা হতে পারে।

গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালককে পাঠিয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হেনস্তার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে একটি পত্র বা আদেশ জারি করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কমিশনারদের জানানো হয়েছে, ‘জোরপূর্বক পদত্যাগের পেছনে যাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়ে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় যথাযথ নির্দেশনা জারি করবে। তদন্ত প্রতিবেদন আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।

জানা গেছে, সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে গত এ বিষয়ে জুমে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে উল্লিখিত (পদত্যাগে বাধ্য করা শিক্ষকদের) বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা খুশি। তারা জানান, কয়েকমাস ধরে তারা মন্ত্রণালয়, আদালত, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদন ও রিট করেছেন। পদ ফিরে পেতে ও কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধনও করেছেন কয়েকবার। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পারা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকরা সর্বশেষ শিক্ষা অধিদপ্তরগুলোতে গিয়েছিলেন ইএফটিতে নাম তুলতে।

পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের প্রকৃত সংখ্যা কেউ বলতে না পারলেও দুই হাজার বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীদের অনেকেই। এসব বিতাড়িত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকরা আগের পদে বহালের জন্য দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবিও জানিয়েছিলেন কয়েকবার।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top