করোনায় পিছিয়েছে মাধ্যমিকে বাধ্যতামূলক কারিগরি শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
 প্রকাশিত: 
                                                ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:০৪
 আপডেট:
 ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:১০
                                                
 
                                        শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বাধ্যতামূলক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল ও মাদ্রাসা উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানে নিুমাধ্যমিক স্তরের প্রত্যেক শ্রেণিতে অন্তত দুটি করে ট্রেড চালুর সিদ্ধান্ত ছিল। তবে ২০২২ সালে এটি প্রবর্তন করা হবে। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।
সোমবার এক ভার্চুয়াল সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। এ খাতে অর্থ বরাদ্দ আমরা চেয়েছি। এটি নিয়ে আমাদের চেষ্টা আছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায়ই দেখা যায় যত্রতত্র যেকোনোভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হচ্ছে। এরপর এগুলোর অনুমোদন ও স্বীকৃতির জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। অথচ এমপিওভুক্তির সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, এখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করলে পূর্বানুমোদন নিতে হবে। অন্যদিকে এর আগে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেয়ার সময় শর্ত দেয়া হয় যে কেউ এমপিওভুক্তি চাইবেন না। কিন্তু এখন সবাই এমপিও চাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সত্যি। কিন্তু তারপরও যদি প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে থাকে, তবে সরকারের সমন্বয় করার সাধ্য কতটুকু আছে সেটাও বুঝতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের পর কেউ বেকার থাকছে না। বরং যারা অন্যান্য শিক্ষায় আছে সনদধারী হয়েও তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদেরকে তিনি চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, কারিগরি শিক্ষা অবারিত এবং জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভর্তিতে বয়স তুলে দেয়া হয়েছে। এখন দরকার মানসম্মত শিক্ষা।
অধ্যাপক আবুল কাশেম বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদি সংক্ষিপ্ত কোর্সটি অষ্টম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত যেকোনো শিক্ষার্থীই গ্রহণ করে আত্মকর্মসংস্থান করতে পারে।
ড. মোরাদ হোসেন মোল্লা বলেন, প্রতিবছর ২৩-২৮ লাখ লোক শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী এই জনশক্তিকে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার মানউন্নয়নে ১৪ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, সবার সমান সুযোগ, শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়ন, বৃত্তি সম্প্রসারণ, জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ এবং মাদ্রাসায় বাণিজ্য বিভাগ চালু করা জরুরি।
সম্পর্কিত বিষয়:
করোনা


 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: