বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

Rupali Bank


মার্চে প্রতিদিন আসছে ৭৩০ কোটি টাকার প্রবাসী আয়


প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২৩ ০০:৩০

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৯

 ফাইল ছবি

চলতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চে প্রতিদিন ছয় কোটি ৮২ লাখ ডলার বা ৭৩০ কোটি টাকার (ডলারপ্রতি ১০৭ টাকা হারে) রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) দেশে আসছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেকর্ড ২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার বা ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৮ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার। টাকার অংকে যা সাত হাজার ৩০০ কোটি। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ৯৫৪ কোটি টাকা।

বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ১৪৮ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৭ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা ছয় হাজার ১৭৩ কোটি টাকা এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ লাখ ডলার।

তবে এ সময়ের মধ্যে আট ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্সিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

প্রবাসী আয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধপথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। এটা এখন কাজে আসছে। রেমিট্যান্সে চলতি মাসের শুরুতেই ভালো অবস্থান দেখা যাচ্ছে। আগামীতে দুটি বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা রয়েছে। এ কারণে রেমিট্যান্স আরও বেশি পরিমাণ আসবে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। পরের মাস থেকে কমতে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

এরপর সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে প্রায় ১৭০ কোটি ডলার বা ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

অন্যদিকে দেশের মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র ডলার সংকট এখনও দূর হয়নি। জরুরি পণ্য আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ৯৬৭ কোটি ডলার। এর আগে এত কম সময়ে কখনও এত ডলার বিক্রির প্রয়োজন হয়নি। আর এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top