৫৫০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
 প্রকাশিত: 
                                                ১৭ অক্টোবর ২০২২ ২১:৪২
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫০
                                                
 
                                        করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকট ও বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক থেকে ৫৫০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
এসব ঋণের বিপরীতে কঠিন কোনো শর্ত থাকবে না। অনেকটা সহজ শর্তেই এসব ঋণ পাওয়া যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ঋণের একটি অংশ ছাড় হবে। ফলে ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে ডলারের সংকট আর থাকবে না।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে তিনি ওয়াশিংটনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বৈঠকে অংশ নিতে অর্থসচিবসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল এখন ওয়াশিংটনে রয়েছে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বৈঠক গত ১০ অক্টোবর শুরু হয়েছে। বৈঠক শেষ হয়েছে ১৬ অক্টোবর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সে ব্যাপারে তারা ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করেছে। অচিরেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে। এবার ঋণ পেতে বাংলাদেশকে কঠিন কোনো শর্ত পালন করতে হবে না। কারণ উন্নয়ন সহযোগীরা যেসব বিষয়ে সংস্কার করতে পরামর্শ দিচ্ছে এগুলো সরকারের কার্যসূচিতেও রয়েছে। এগুলো নতুন কোনো বিষয় নয়। সরকার নিজ থেকেই এগুলো করতে চায়। ফলে আইএমএফ থেকে কঠিন শর্তে ঋণ নিচ্ছে বলে যে সমালোচনা রয়েছে এটি ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
তিনি বলেন, আইএমএফ থেকে দুটি খাতে ঋণ পাওয়া যাবে। আইএমএফের ঋণ পেলে অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পেতে কোন সমস্যা হবে না। কেননা আইএমএফ ঋণ দিলে ওই দেশকে অন্য সব সংস্থাই ঋণ দিতে কোনো সমস্যা বোধ করে না। তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি থেকে ঋণ পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ কমে এসেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও কিছুটা কমছে। আগামীতে আরও কমবে বলে তিনি আশাবাদী। পণ্যের দাম কমতে থাকলে আমদানি ব্যয়ও কমে যাবে। ফলে নতুন করে আর কোনো সংকট দেখা না দিলে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ডলার সংকট কেটে যাবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
বিশ্বব্যাংক


 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: